অটোয়া, সোমবার ২৩ জুন, ২০২৫
চতুষ্কোণে স্বরবৃত্তি – মুহম্মদ বজলুস শহীদ

মি অসুস্হ হোলে- অসুস্হ হোয়ে যায় মা,
মা অসুস্হ হোলে আমার 
সমস্ত পৃথিবী অসুস্হ হোয়ে যায়,
পৃথিবী অসুস্হ হোলে সবাই অসুস্হ হয়। 

আজ পৃথিবীর সব ভালবাসা অসুস্হ, 
আজ  পৃথিবীর প্রতিটি গৃহ অসুস্হ, 
প্রতিটি বৃক্ষ  অসুস্থ, অসুস্থ প্রতিটি ফুল
নদী, পাখি সবাই অসুস্থ 
আমি কার কাছে যাব!

আমার পৃথিবী আজ কাঁদতে ভুলে গেছে
ভালবাসা শব্দটাও মরে যাচ্ছে ক্রমে
পিতার লাশে আজ পুত্রের স্পর্শ নেই
মেয়ের আহজারি নেই
মায়ের বিলাপ নেই
এ কেমন কষ্টের পৃথিবী আমার!

অসম্ভব সব কষ্টে শহর থেমে আছে চারপাশ
নিঃশব্দের বৃষ্টিরা এসে ধুয়ে দেয় তুষারের ঘ্রাণ 
গৃহবন্দী মানুষেরা উদাস আকাশ দেখে জানালার কাঁচে অস্পষ্ট কুয়াশা, 
এসফল্টের ছাদ কালো নেকাবে
ঢেকে থাকে, কতকগুলো পান্ডুর রমণীর মুখ। 

শৈশবের শুয়ো রাণী দুয়ো রাণীর গল্পের মত
নগরী শুণ্য হোয়ে যাচ্ছে, সব খানে একটাই শব্দ 
ঘরে থেকো, ওই যে আসছে 
রূপকথার ডাইনীর মত- 'করোনা' নাম্নী এক অচেনা রাক্ষসী, 
একের পর এক খেয়ে ফেলছে গ্রাম, 
নগরের কোলাহল, রেস্তোরাঁর ঘ্রাণ।
ভীত,সন্ত্রস্ত মানুষেরা অপেক্ষায় থাকে 
কখন আসবে করোনার প্রতিষেধক, 
কখন আসবে দেবদূত,কখন পুড়িয়ে দেবে
সংবদ্ধ ভাইরাসের প্রতিটা নিবাস।

বলবে - বেরিয়ে পড়ো হে পৃথিবীর মানুষ 
দেখো ভারমুক্ত তোমাদের পৃথিবী, ক্লেদ মুক্ত
আকাশ, মানুষের আলিঙ্গন, ভালবাসার 
উত্তাল জোয়ার। 

আমি অসুস্হ হোলে মা অসুস্হ হয়
মা অসুস্হ হলে পৃথিবী অসুস্হ হয়
পৃথিবী অসুস্হ হলে সবাই অসুস্হ হয়
এসো সবাই সুস্হ পৃথিবী বানাই।। 

মুহম্মদ বজলুস শহীদ । অটোয়া, কানাডা