অটোয়া, সোমবার ২৩ জুন, ২০২৫
আসাদ বিপুল -র কবিতা

দেশের কথা

বাংলা মায়ের কোলে জন্মেছি আমরা হাজার কোটি সন্তান 
কেউ মুসলিম কেউ হিন্দু কেউ আবার বৌদ্ধ খ্রিস্টান। 
ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে দেশের জন্য দিতে হলে দিব প্রাণ 
রক্ষা করবো তবু আমরা দেশ মাতার মান সম্মান। 
ইংরেজ শাসন করেছিল এদেশ দুই শত বছর ধরে 
নিয়ে গেছে লুটে সব রেখে গেছে শুধু মাতৃভূমি আমাদের তরে। 
জাত আর ধর্মে ছড়িয়েছিল মারামারি হানাহানি আর রক্তের হোলিখেলা 
বহুপ্রতীক্ষার পর হয়েছিল দেশ ইংরেজ মুক্ত পথচলা। 
ইংরেজ হটিয়ে হয়েছিল দুটি রাষ্ট্র ভারত আর পাকিস্তান 
পাকিস্তানের দু'টি খন্ড শাসন করেছিল যারা তারা  ছিল খান। 
খানেরা চেয়েছিল পূর্ব বাংলা শাসন করতে চিরদিন 
ধীরে ধীরে বাঙালিদের কেড়ে নিয়েছিল অধিকার করতে চেয়েছিল সবকিছু বিলীন। 
বাহান্নতে তারা কেড়ে নিতে চেযেছিল মায়ের মুখের ভাষা 
রফিক শফিক জব্বারেরা বুকের রক্ত দিয়ে পূরণ করতে দেয়নি তাদের সে আশা। 
দিনের পর দিন বাঙালির উপর খানদের চলতো অত্যাচার 
বাঙালি জাতি স্বোচ্চার হয়েছিল, তারা চেয়েছিল স্বাধীকার। 
দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধে হারিয়েছিল কতজনে কত মা বাবা ভাই বোন আর আত্মীয় স্বজন 
হারিয়ছিল অনেকে কত শত প্রাণের প্রিয়, স্নেহধন্য আপনজন। 
অবশেষে একাত্তরের ১৬ই ডিসেম্বর পাক বাহিনী করেছিল আত্মসমর্পণ 
বাঙালিরা করেছিল একটি স্বাধীন দেশের বিজয় উদযাপন। 
এদেশ পেয়েছে লাল সবুজের একটি স্বাধীন পতাকা
সব বাঙালির হৃদয়ে রয়েছে এখন স্বাধীন দেশের মানচিত্র আঁকা।

ভালোবাসার চাষ

এই ধরনী থাকবে যতোদিন 
ভালোবাসা রবে ততোদিন,
বিশ্বাস আর অবিশ্বাসের মাঝে 
হবে না তো বিলীন। 

স্বপ্নের বাগানে হয় প্রেম চাষ 
ফুটায় প্রেমের ফুল, 
হৃদয়ের ছোঁয়া দিতে কেউ 
করে না তো ভুল। 

জাগ্রত হৃদয়ে ভাবে যখন
তন্দ্রায়ও দেখে স্বপন,
প্রেমের ডালা সাজিয়ে রাখে
প্রেমিকের আপন ভুবন। 

সুখে কিংবা দুঃখের কালে
পাশে থাকে সর্বক্ষণ, 
প্রেম বিরহের মাঝে খুঁজে 
স্বর্গ সুখের মধু ক্ষণ। 

দূরে গেলে কিংবা আড়াল হলে
দেখতে পায় চোখ বুজে
হৃদয়ের ধ্যানে হৃদয়ের জ্ঞানে
কল্পনাতেও প্রেম খুঁজে।

আসাদ বিপুল
ভগিরথ মাছহাড়ী, রংপুর।