অটোয়া, সোমবার ২৩ জুন, ২০২৫
ফরিদ তালুকদার-র দু’টি কবিতা

ব্যবচ্ছেদ

ওলট-পালট করে দেখি হাতের তালু রেখা
সিথানের আঙিনায় সেফালি ফোঁটানো  কোন রাত
ফিরে আসে বারবার আততায়ী রূপে

ক্ষুব্ধতা নেই কোন
দেহ কোষের বিভাজন স্রোতে ডাকে ব্যাথার প্লাবন
আসেনি যে কোনদিন তাকেই  বিদায় জানাই 
প্রতি সায়াহ্নের বেলা

কবিতার তীর্থে জেগে উঠা এক ভবঘুরে 
নিশার আলস্য ভেঙে হঠাৎ 
ঝর্ণাকে শুধায় 
কখনো কি শুনেছো তুমি পিছনের ডাক
পাথরের বুক ছুঁয়ে জলের ঠুমরী তোলা
নিরবধি ঝর্ণার গান 
বলে আমার জন্ম যে শুধু মোহনাকে পাওয়ার

সোনারু মননের উঠোনে হয়
বুনো ভালোবাসার সুচারু ব্যবচ্ছেদ
দিক ভ্রান্ত  নই তবু
ছুটে চলি নিয়তই
প্রেমাগ্নি কুন্ডলে সাজায়ে বাসর

সময়ের শাসন ভাঙে 
ভালোবাসার পূরণ অভিধান
তমসার হাতছানি হয়ে
তারুণ্যকে কাছে ডাকে
হৃদয়ের গহীন পারাপার 

এ সবই যে তোর অবদান
ভালো থাকিস জাহ্নবী..!!


নির্নিমেষ স্তব্ধতা 

প্রতীক্ষা নেই কোন আর
মনে পড়ে না কোন নাম
ঈশ্বর যপমালা, মানুষ কিংবা অন্য কিছু 

মৃত্যু সমান এক ভালোবাসা
হাতিয়ার তুলে ধরে মাথার উপর 
প্রতারক মঞ্চের প্রহসনে
অসহ্য সব পৃথিবীর আলো

লাইলাকের শেষ স্নিগ্ধতা নিয়ে
পথিক শূন্য পথ 
পাড়ি দেয় অগুনিত শস্যক্ষেত 
কুয়াশার চাদরে ঢেকে যাওয়া সবুজের প্লাবনে 
ঢেউ তোলে নিশাচর বেহালার সুর
চৌচির অধরে অস্ফুট থাকে শোকার্ত স্তবক

একটু থামো মহাকাল
এখনই তো সময় 
সত্যের উচ্চারণে করে নেই
মানব জনমে গাঁথা মিথ্যের নির্বাণ
হাজার জন্মের বিভৎসতা কুড়িয়ে 
নিজের পাওনাটাকেই শুধু
যে বুঝে নিতে চায় সীমাহীন নগ্নতায়..!

মায়ার পৃথিবীর চোখে একফোঁটা জল রেখে
এখানেই তাই 
থেমে যাক বিগত সময়ের সব কোলাহল।।

ফরিদ তালুকদার । টরন্টো, কানাডা