অটোয়া, সোমবার ২৩ জুন, ২০২৫
অনুভবে - মুহাঃ হাবিবুর রহমান

সেদিন ছিল হেমন্তের সন্ধ্যা বৃষ্টি মুখর ক্ষণ............
আম পাতা চুঁয়ে ঝরে পড়া রিমঝিম জল ধারার অনুরণ,
দিগন্ত জুড়ে শেফালীর হাসি তারা ঝলমল নিশি
স্নিগ্ধ দৃষ্টির মাঝে একাকার ওষ্ঠে লুকিয়ে হাসি,
কাছে সরে এলে অনেক কাছে নিশ্বাস বরাবর
সৌরভে মিশে সুবাসিত আঘ্রাণে মুকলিত দরবার,
কিযে মোহময় নন্দিত সময় ঊথলিত মনপ্রাণ 
চিত্ত চঞ্চল বাড়ে স্পন্দন-দৃষ্টি স্তব্ধ মুখরিত গুঞ্জন,
বাড়িয়ে দিয়ে বাহু মসৃন করতলে পিষ্ট জীবনের সব উষ্ণতা বিহবল,
মনের উচ্ছ্বসিত আবেগে বললে রাজাধিরাজ মনে রবে চিরকাল,
স্মিত হেসে আঁখিজলে ভেসে-কহিলাম তুমি মোর তথৈইবচ স্বপ্ন সম্বল।
হিমবাহী কুয়াশার চাদর ঢাকা পড়ে রাত্রির কোলে সবুজের প্রান্তর
চুম্বনের শব্দের মতো বিহঙ্গের চিৎকারে জেগে ওঠে ঘুমন্ত অন্তর।
আমি বলি চপলা চঞ্চলা কাঁকনের রিনিঝিনি সুরের মুর্ছনা বহমান
অবিরাম বয়ে যাওয়া জল ধারা দুকুল ছাপিয়ে সিক্ত জল সিঞ্চন, 
কিযে অফুরান খুশীর ঝর্না ছোটে বহতা নদীর বুকে
দিকে দিকে তাই বসন্ত বিহারে ফুলে ফুলে সব ঢাকে,
কালো কেশে 
মোহনীয় বেশে গোলাপী ঠোঁটের কোনে
হেমন্তের এই হিম বাহে রাত্রির নীরব ক্ষণে
দৃষ্টি অভিনব আবেশে মুগ্ধ তব কতনা স্বপ্ন ভেলায় চলে ভাসি
ছোট্ট বুকে খেলা করে অব্যক্ত কথা রাশি রাশি,
তারি থেকে কিছু কথা বাক্য হয়ে ঝরে
বাকিরা জন্ম হীনা তাই অন্তরে গুমরে মরে।

কখনো স্বপ্ন পরীর সাজে প্রজাপতি রং মাখা ডানায় উড়ে চলা
বিমুগ্ধ চেতনার রং মাখা পথে পা তোলা পা ফেলা,
বুকের জমিনে ফেনায়িত জল ফেনা শুভ্রতায় মোড়ানো বকফুল
বললাম আমি-তুমিইতো রানী, নিরাশার সায়রে দুকূল। 
হাসলে, চির চেনা হাসি- তরঙ্গায়িত হলো জল রাশি
পানকৌড়িরা লীলায়িত হলো বহূ দিন পর পাশাপাশি,
মধু ময় পুস্পিত যৌবনের প্রতীক্ষায় কৈশরের তুলতুলে বালিকা মোহময়ী
আজ তবে খুঁজে পেলে স্বপ্নের সারথী, হলে নন্দিত জগৎ জয়ী।
মোহনীয় চাহনীতে জলছল, হাসি খলখলিয়ে কাঁকনের মুর্ছনায়- 
”আদরিনী-শুন্যতা অনুভবে সারাক্ষণ বুকের পিঞ্জরায়”
বললে খুব নীচু স্বরে- এ পথ গেছে বহু দূর অনন্ত কাল মহাকালে
আমাদের যত চোখাচোখি- 
হাসি আনন্দ মাখামাখি
শুধই ভাবনা-ভালোলাগা, হৃদয়ে দোল খাওয়া, ছন্দের তালে তালে।
তাই হোক অনুভবে ভাবনার খেয়ায় ভাসি
হেমন্ত শীত বসন্তে বয়ে যাক জীবন, তুমি আমি পাশাপাশি!  


মুহাঃ হাবিবুর রহমান
প্রভাষক
ইসলামের ইতিহাস বিভাগ
নওয়াবেঁকী মহাবিদ্যালয়
নওয়াবেঁকী, শ্যামনগর, সাতক্ষীরা।