অটোয়া, সোমবার ২৩ জুন, ২০২৫
বেড়াল - মুতাকাব্বির মাসুদ

দেয়ালের টিকটিকিটার তন্বী শরীরে
হাই সোসাইটির ডিস্টেম্পার!
সদ্য যৌবনের যুক্তিহীন নিতম্ব-কমলা রঙের ঢেউ
পোয়াতি সাদাকালো বেড়াল
বিস্ময়ে গিলে খায় টিকটিকির অস্থির ছায়া!
কয়েকটি নির্বোধ পিঁপড়ে সফেদ টিউবলাইটের
বরফ-উষ্ণ শরীর বেয়ে শব্দহীন শব্দের
শব্দিত খেলার নেশায় মেতেছে,
টিকটিকি দেয়ালের অভিজাত তরঙ্গে
নিজের আভিজাত্যকে অভিযোজিত করে
অমসৃণ লেজ নাড়ায় উদ্দীপিত অগ্নি কুঞ্জে
চপল-চঞ্চল ; নীলশাড়িতে ঢাকা
অভিজাত ডিম লাইট'র আড়াল!
কয়েকটি কাগজের ফুল-দামি পর্দার ফাঁকে
ফাঁস দিয়ে ঝুলে আছে কবে
বন্ধ্য সন্ধ্যার নিথর শরীর-ভেজা চোখ!
দেয়ালের রঙচটা কোণে জয়নুলের দুর্ভিক্ষের
চিত্র-বেড়ালের কলিজায় ঘাই তোলে!
চন্দনের পালঙ্কে দাঁতাল ইঁদুরের কুটকুট শব্দ
নিঃসীম গোরের নির্জনতা!
টুপ করে ঝরে পড়ে অতি সংগোপনে
বেড়ালের চোখ থেকে এক ফোঁটা অনলজল
পিঁপড়ের আহ্লাদী কামড়ে টিকটিকি খসায়
তার অহংকারী যৌবনি লেজ
টিউব লাইট হারায় তার বরফ সাদা আলো
অদ্ভুত আঁধারে খেলে বেড়াল আর টিকটিকি
নিজের ভেতর ছায়ার ভেতর
হলুদ দেয়ালের অন্তর্গত প্রাণহীন নিস্পন্দ
কালো কয়লার শরীরে !
দেখে বিকলাঙ্গ কাঁঠালি চাপার শরীর
অভিজাত অসুয়ার সাথে অস্পৃশ্য সংগমে মত্ত
চোরাই রোদের সুবর্ণ ঠোটে অসুরের চুম্বন
যৌবতী বকুলের অস্ফুট যৌবন
নীল নীল প্রজাপতির মতো
মৃত্তিকার দহনকুঞ্জে অন্তহীন মৃত্যুর মতোই
অবিরাম মিশে যেতে চায়!

মুতাকাব্বির মাসুদ । শ্রীমঙ্গল