অটোয়া, সোমবার ২৩ জুন, ২০২৫
একগুচ্ছ কবিতা -সোমের কৌমুদী

লাল-সবুজ স্বাধীনতা  

যুগের বহমান ধারায়  এই পথ হয়ত আজ পথ-ই হত!
কিন্তু, এ পথ কি তখন পথিককে ডাকত
    মায়ামাখা ইশারায়,
তার বুকে ধারণ করত অবিরাম চলার মায়ামন্ত্র?

হয়তবা এ পথ আজ পথ-ই হত
কিন্তু, এ পথ কি তখন রুক্ষতা সরাতে পারত
মাটির মায়ায় নিজেকে কি রাখত আবদ্ধ
সবুজের সমারোহে দু’ধার কি সাজাতে পারত? 

স্বাধীনতা, প্রাণের স্বাধীনতা, প্রিয় লাল-সবুজ স্বাধীনতা
তোমার স্পর্শে সবুজে সবুজে সাজে রুক্ষ পথটা।  

খুঁজে পাই 

প্রাতে সূর্যের আলোর ডাকাডাকি
তার মাঝে শুনতে পাই তোমার বাণী,
কর্দমাক্ত পথের উপর যান্ত্রিক সভ্যতার নিপীড়ণ 
ব্যথার অনলে  দগ্ধ মৃত্তিকার ক্রন্দন;
সেখানে পেয়েছি তোমার দেখা
আর অশ্রুতে  মিশে আছে তোমার কথা।

রেল লাইনের পাশের ঝুপড়ি ঘরে
কোন অষ্টাদশী তরুণীর কৃত্রিম প্রেমের আলিঙ্গনে 
খুঁজে পেয়েছি তোমার দেখা,
তরুণীর কষ্টে ভরা হৃদয়ে বেঁধেছ বাসা।

আমার না দেখা প্রেমিকার প্রতীক্ষিত নয়নে
তুমি দিয়েছ দেখা গোপনে,
আর ডাস্টবিনে খাবারের খোঁজে —
কুকুরের সাথে যুদ্ধরত শিশুদের মাঝে
তোমার পুনর্জন্ম দেখেছি প্রকাশ্যে।

 তোমাকে পাই নি খুঁজে-
এসি রুমের ভিতরের সাহিত্য আসরে।
কিংবা সুসজ্জিত ঘরের নরম বিছানায়
দেহ এলিয়ে দেয়া অজস্র বিলাসী সত্ত্বায়; 
নজরুল, আমি কখনই খুঁজে পাই নি তোমায়। 

সমসাময়িক সময়

ঝরা পাতার গানগুলো আজ বিমূর্ত সুর তোলে
জীবনকে পৌঁছে দেয় অতলের গহীন তলে
অসহ্য অনুভূতিগুলোকে মিশিয়ে দেয়
    সাদাকালো সময়ের মাঝে।

ঝরা পাতার গানগুলো আজ বিমূর্ত সুর তোলে
স্বপ্ন ভাঙার বেদনাক্লিষ্ট ভয় নেই আর
নেই সময়কে রঙিন করে জীবনকে সাজানোর বাসনা।
ঝরা পাতার গানগুলো আজ—
অসহ্য অনুভূতিগুলোকে মিশিয়ে দেয় 
    সাদাকালো সময়ের মাঝে।

সোমের কৌমুদী
ঢাকা, বাংলাদেশ।