অটোয়া, সোমবার ২৩ জুন, ২০২৫
মনপবন - মহসীন বখত

মেঘপোয়াতী আকাশ হাতে স্বপ্ন চোখে দাঁড়িয়েছিলাম
মহাকালের পথের বাঁকে
দণ্ডকারণ্যের মাঠে এসে উদয় হলে তুমি অবলা 
দাঁড়িয়েছিলে পথ আগলে চোখের কাজল মায়া মেখে
বলেছিলে, বিদ্যুৎময় নাগর তুমি, দাঁড়াও দাঁড়াও
আঁখির তারায় কি বুনেছ? স্বপ্ন ভেবে বজ্র নাকি?
শিমুল তুলোয় বোনা বালিশ
ফুল তুলেছি প্রজাপতির ডানা যেন
তার উপরে মাথা রেখে ঘুমিয়ে পড়ো
আকাশগঙ্গায় যেমন ঘুমায় 
ব্রহ্মাণ্ডের শিশুগ্রহ।

মেঘপোয়াতী আকাশ হাতে খোয়াব দেখতে ঘুমিয়েছিলাম 
পোড়োবাড়ীর পুকুর ঘাটে
তুমি বললে, মৃত্তিকা হও স্বপ্ন মাখো চোখে
সোনার ফসল চাষ কর বুকে
পাকা শস্য গোলায় তুলে পাক-পাখালির রিজিক ছিটিয়ে দিয়ো
ধুলোমাটি মা-পলিতে বীজ বুনো সুখে
চাঁদপানা মুখ আসে যদি ঘরে
কালবোশেখী ঝড়ে উড়াও নতুন শিশুর 
বার্তা উত্তরীয়।

সাঁঝের আকাশ রক্তরাগে স্বপ্ন মাখে দূরদেশে 
বলেছিলাম যাবই যাব পথ ছেড়ে দাও
তুমি বললে যাবেই যদি যাও
মনটা তোমার নাইয়র দিয়ো, মনটা ছুঁয়ে মনপরাণে
সারাবেলা কাটিয়ে দেব কাকপক্ষী জানবেনাকো ভুলে।

পবনদূতের পালকি চড়ে আমার প্রাণটি খুব গোপনে
তোমার বাড়ীর পন্থ ধরে যায়,কেউ দেখেনা
কেউ জানেনা, প্রাণ কি দেখা যায়!

মহসীন বখত
অটোয়া, কানাডা।