অটোয়া, সোমবার ২৩ জুন, ২০২৫
পরিযায়ী সভ্যতা - শেখ ফিরোজ

নির্বাসিত নগরীর সীমানায় মরে আছে পাখি।
তৈরী করেছে সভ্যতা ও অসভ্যতার দেয়াল;
পাখির কান্নায় কেঁপে ওঠা ভূধর প্রসব করেছে ঝর্ণা। 
প্রস্তর বিলি দিয়ে দিয়ে ছুটে সঙ্গমরত জল;
আমি হাসি খল্ খল্। উচ্ছ্বাস দামামায়। 
আমি অতিথি এখানে। আমি খেলতে এসেছি-
পাথরের সাথে; জলের সাথে; সাদা মেঘের সাথে...
খেলতেই ভালো লাগে। মৃত পাখির সিমানা পেরিয়ে।
ও কান্না মিশে গেছে জলে; হয়ে গেছে-জল কলতান
সাদা মেঘের দুর্বার আঘাতে হয়ে গেল শৈলৎক্ষেপ।
সে আঘাতে ভেঙ্গে গেছে মেঘের সংসার।
এ কান্নার অর্থ খুঁজেনি পৃথিবী।
পাখিদের আহাজারি মিশে গেছে আকাশে
এখন তা বৃষ্টির বাদ্য। আমি বেশ রোমাঞ্চিত বটে।
ঝর্ণা জলে গা ধুয়ে-সুচি জল নিয়েছি ঘটে-
এ সুচির কি মানে আছে সভ্যতায়?   
ও জলে পুঁজো হবে বলেই ঘটে জল তোলা-
ও জলে শুচি হবে বলেই দু'টি ডুব দেয়া।
এখানে পাখির সৎকার নিয়ে বিম্বিসা নেই! 
এখানে কান্নার জলে খুঁজি মন্মথ;
এখানে মৃত পাখিকে অবহেলা করেছি -পরিযায়ী বলে; 
ঐ মৃত্যুকে লাশ মনে হয়নি আমার।
এখানে উচ্ছ্বল আনন্দে উবে গেছে লজ্জা, ডুবে গেছে ন্যায্যতা- 
এখানেই মুখ থুবড়ে পরে আছে আমার পরিযায়ী সভ্যতা।

শেখ ফিরোজ
বাংলাদেশ।