অটোয়া, সোমবার ২৩ জুন, ২০২৫
হেমন্তের স্নিগ্ধতা -ডাঃ সুভাষ চন্দ্র সরকার

লে গেছে শরত এসেছে হেমন্ত, 
শান্ত মুক্ত আকাশ; ছুঁয়েছে দিগন্ত। 
নেই মেঘের লুকোচুরি; নেই আলো আঁধার, 
এসেছে হিমের পরশ মন তাই উচাটন। 

শিশির বিন্দু পড়ে এসে; আমনের শীষে
রবির কিরন যেন রজত জ্বলে 
পাকা আমনের ক্ষেতে বাবুইয়ের হিল্লোল 
কাদা জলে মাছরাঙা - বকের খুশির কল্লোল। 

গৃহিণী অপেক্ষায় নবান্নের উৎ সবে 
নবান্নের গান বাঁধে; বধূরা সমাবেশে। 
বিবর্ন পলাশের পাতা মৃদু- মৃদু দোলে 
খসে খসে পড়ে তারা ধরনীর কোলে। 
পলাশের কুঁড়ি মুখ লুকায়;শীতের অপেক্ষায় 
প্রকৃতি সেজে ওঠে কতো ফুলের আশায়।

দোলনচাঁপা কামিনী মল্লিকার সমাহার;
ছাতিম-গন্ধরাজ বকফুলের বাহার। 
রাতের রাণী(শিউলি) বিদায় নেয় বছরের তরে,
হেমন্তের মনোরম স্নিগ্ধতা বিরাজ করে।।

ডাঃ সুভাষচন্দ্র সরকার
উত্তর ২৪ পরগনা
পশ্চিমবঙ্গ ভারত