অটোয়া, সোমবার ২৩ জুন, ২০২৫
আকাশগঙ্গা - কৃতিকণা চিনি

জ দুর্গাপুজোর পঞ্চমী। জামাকাপড়ের ছোট্ট ব‍্যাগটা কাঁধে চাপিয়ে হাওড়া থেকে দুপুর দুটো কুড়ির বর্ধমান লোকালে উঠে পড়ল টুকাই। এসময়ের ট্রেনে অত ভিড় থাকে না। একটা জানালার ধারের সিট খুঁজে নিয়ে বসে পড়ল সে। 
দেশের বাড়ি যাচ্ছে টুকাই। ছোট থেকেই খুব সাবলম্বী, বাবা মায়ের আঙুল ধরে চলা ওর ধাতে নেই। তাই একাই যাতায়াত করে। কাকাই গতকালই সেখানে পৌঁছে গেছেন। আর পৌঁছেই ফোন, "কি রে, কাল কখন আসছিস?" 
এই সুযোগে দাদু ঠাম্মার উষ্ণ সান্নিধ্যটাও পাওয়া যাবে। দাদু বড় মজাদার মানুষ। অভিজ্ঞতার ঝুলি ভর্তি চিত্তাকর্ষক সব ঘটনায়। কত বিচিত্র জিনিসের সাক্ষী দাদু। রেডিও-গ্রামাফোন থেকে শুরু করে মোবাইল-ল‍্যাপটপ-ভিডিও কলিং পর্যন্ত। মহাত্মা গান্ধী থেকে শুরু করে পাতাল রেল-ডিজিটাল ইন্ডিয়া পর্যন্ত। সবকিছুতেই মহা উৎসাহ। মাস চারেক আগে তো একদিন পাড়ার একদল ছেলে-বুড়োকে জুটিয়ে ঝাঁটা হাতে স্বচ্ছ ভারত অভিযানে নেমে পড়েছিলেন। তারপর যদিও শ্বাসকষ্টে একমাস বিছানা ছেড়ে উঠতে পারেননি। কমবয়সে একবার পাড়ার ল‍্যাম্প পোষ্টে ল‍্যাম্প লাগাতে গিয়ে, মই থেকে পড়ে এমনভাবে পা ভেঙেছিলেন, যে আজও সামান্য খুঁড়িয়ে চলেন। যেমন আড্ডাবাজ, তেমনি ভারি গুছিয়ে গল্পও বলতে পারেন দাদু।
আর ঠাম্মার হাতের পোলাও থেকে মালপোয়া, যেন অমৃত। খেতে বড় ভালবাসে টুকাই। কিন্তু মা খাওয়া দাওয়ার ব‍্যাপারে বড় নিয়ম মেনে চলেন। মাসে একদিন মাত্র লুচি, তাও আবার হাতেগোনা। বাড়িতে মিষ্টি ঢোকে না বললেই চলে। নামে মাত্র তেল দিয়ে সেদ্ধ সেদ্ধ রান্না। বেশিরভাগ তরকারিই আলু ছাড়া। ডাল, স‍্যালাড, সবজির স‍্যুপ, মাছেরও প্রায় তাই। প্রায়দিনই ব‍্যাজার মুখ করে আধপেটা খেয়ে উঠে যায় টুকাই। 
ঠাম্মার কাছে এসে যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচে সে। এখানে না আছে তেলের সীমিতকরণ, না আছে গোনা গুনতি লুচি খাওয়া। ভুরভুরে বনস্পতির সুগন্ধে ভরা ফুলকো ফুলকো লুচি, পেটপুরে যত খুশি খাও। সঙ্গে বেগুন ভাজা, ছোলার ডাল, আলুরদম, কুমড়োর ছক্কা, আর সুজির মোহনভোগ। ঠাম্মার রাঁধতেও ক্লান্তি নেই, আর টুকাইয়ের খেতে। কি করে যে বাবা নিজের মায়ের হাতের রান্না খাওয়ার পর, অমন অম্লান বদনে টুকাইয়ের মায়ের হাতের রান্না খান, সেটাই বড় আশ্চর্যের।

টুকাইয়ের এবার ক্লাস টেন। পুজোর পর স্কুল খুললেই সিলেকশন টেস্ট। তবুও কাকাই এর সঙ্গটা মিস করার কথা ভাবতেই পারে না টুকাই। কাকাইয়েরও টুকাই অন্ত প্রাণ। ওই সাত সমুদ্র তেরো নদী পার থেকেও সপ্তাহে অন্তত একদিন টুকাইয়ের গলাটা না শুনলেই নয়। 
প্রতিবছর না হলেও, প্রায় বেশিরভাগ পুজোতেই দেশের বাড়িতে আসেন কাকাই। বিদেশে থাকলে বোধহয় দেশের প্রতি টানটা অনেকগুন বেড়ে যায়। চোখ থাকতে আমরা যেমন চোখের মর্ম বুঝি না, তেমনি দেশে থাকতে দেশের প্রতি টানটাও। 
কাকাই মানেই টুকাইয়ের কাছে এক অদ্ভুত জগৎ, বিচিত্র চিন্তাধারা, নতুন কিছু জানা। এমন কিছু, যা নিয়ে ভেবে কাটিয়ে দেওয়া যায় পুরো একটা বছর। তবুও কোনো কূলকিনারা মেলে না। কেমন যেন একটা আনন্দ মেশানো ভয়-ভয়, শিহরণ মেশানো নেশা-নেশা অনুভূতি। যা নিয়ে স্বপ্ন দেখে রাতের পর রাত বিছানায় ধড়মড় করে উঠে বসে পড়ে টুকাই। বাকি রাতটা আর আদৌ ঘুমোবে কিনা ভাবে। তাই পরীক্ষা দরজায় কড়া নাড়ছে জেনেও, এবার একপ্রকার মায়ের কথা অমান‍্য করেই দেশের বাড়ি যাচ্ছে টুকাই।

কাকাই অ‍্যাসট্রো-ফিজিক্সের প্রফেসর। বলেন, "জানিস টুকাই, মানুষের জানার শেষ নেই। সত্যি সত্যি জেনে শেষ করাও যাবে না কখনো। যেমন ধর, আমাদের সৌরমণ্ডলে সূর্যকে কেন্দ্র করে আটটা গ্রহ, তাদের পাঁচশো পঁচিশটা উপগ্রহ, এখনও পর্যন্ত আবিষ্কৃত পাঁচটা বামন গ্রহ, আর সাত লাখ আটাত্তর হাজার আটশো সাতানব্বইটা হ্রস্বতর গ্রহ। এইরকম কিন্তু অগুনতি সৌরমন্ডল আছে মহাবিশ্বে। বেশকিছু সৌরমণ্ডল নিয়ে আবার এক একটা কনস্টেলেশন বা নক্ষত্রপুঞ্জ তৈরি হয়। এক একটা ছায়াপথ বা মিল্কিওয়েতে দুশো থেকে চারশো বিলিয়ন নক্ষত্র আছে। আমাদের সৌরমণ্ডল যে মিল্কিওয়েতে রয়েছে, তার নাম আকাশগঙ্গা! কি সুন্দর নামটা না? মনে রাখিস। কিছু কিছু গ‍্যালেক্সি আবার মিল্কিওয়ের চেয়েও বড়। যেমন আমাদের প্রতিবেশী গ‍্যালেক্সি অ‍্যানড্রোমেডা। আবার কুয়াশাচ্ছন্ন নেবিউলা বা নীহারিকার মধ্যে রয়েছে অসংখ্য গ‍্যালেক্সি। আর সবকটা গ‍্যালেক্সি মিলে ইউনিভার্স, দার্শনিকরা বলেন কসমস। যদি তাই হয়, তবে কসমসের পরে কি আছে? মহাশূন্য? নাকি সেটা কোনো দেওয়ালে ঠেকে আছে? শূন্যটা কি? কিংবা ওই দেওয়ালটা? শেষ বলে আদৌ কি কিছু আছে?"
কেমন যেন ভয় ভয় করে টুকাইয়ের। মনে হয় কসমসের ভিতর থেকে গ্রিল ছাড়া খোলা জানালাটা দিয়ে মুখ বাড়িয়ে দেখছে ও। শুধুই অন্ধকার, আর একটা ভয়ঙ্কর ফাঁকা অনুভূতি। পা ফস্কে পড়ে যাওয়ার আতঙ্ক। পাহাড়ি সরু রাস্তায় গাড়ি করে ফেরার সময়, হঠাৎ রাত হয়ে গেলে যেমন প্রতিমুহূর্তে খাদে পড়ে যাওয়ার একটা ভয় থাকে, তার থেকেও অনেক বেশি ভয়। এই মহাবিশ্বে তখন যে সে একদম একা! কাছেপিঠে কেউ নেই, কাকাইও না।
আর ব্ল‍্যাকহোল সম্বন্ধে যখন শুনেছিল, তখন তো হাত পা ঠাণ্ডা হয়ে গিয়েছিল টুকাইয়ের। মনে করা হয়, জগৎ সৃষ্টির প্রারম্ভে, বিগ ব‍্যাং এর পরমুহুর্তেই আদি ব্ল‍্যাকহোলের সৃষ্টি। আবার, যখন কোনো অতিকায় নক্ষত্রের কেন্দ্র তার নিজের উপরই ভেঙে পড়ে, তখন সেটা থেকে স্টেলার ব্ল‍্যাকহোলের সৃষ্টি হয়। ব্ল‍্যাকহোল নাকি স্পেসটাইমের এমন একটা জায়গা, যার মাধ‍্যাকর্ষণ ক্ষমতা এতটাই ভয়ঙ্কর শক্তিশালী, যে আলোর মত দ্রুততম ইলেকট্রোম‍্যাগনেটিক রেডিয়েশনেরও তার হাত থেকে মুক্তি নেই। সবকিছু ঢুকে যায় ওই অন্ধকার গহ্বরে। আমাদের সূর্যটাও যেদিন নিজের কক্ষপথে ঘুরতে ঘুরতে কোনো ব্ল‍্যাকহোলের কাছাকাছি চলে যাবে, সেদিন সূর্যটার সাথে সাথে আমাদের পৃথিবীটাও ঢুকে যাবে ওই ব্ল‍্যাকহোলে। 
সে বার ব‍্যাপারটা ভেবে উঠতেই অনেকটা সময় লেগে গিয়েছিল টুকাইয়ের। কিন্তু এবার সে কাকাইকে জিজ্ঞেস করবে, কেমন দেখতে ব্ল‍্যাকহোল? জলের ঘূর্ণির মত? অন্ধকারের ঘূর্ণি? মাঝবরাবর একটা বড় গর্ত, যার ভিতরে সবকিছু তলিয়ে যায়? আমাদের সূর্যটাই বা কবে ব্ল‍্যাকহোলের কাছে যাবে? কিছুদিনের মধ্যেই কি? 
সেদিন ভূগোল ক্লাসে স‍্যার বলছিলেন, আমাদের পৃথিবীটা নাকি একটু একটু করে সূর্যের কাছে চলে যাচ্ছে। একসময় নাকি ওই বিশাল অগ্নিকুণ্ডের মধ্যে মিশে যাবে পৃথিবীটা।
সবকিছু কেমন গুলিয়ে যায় টুকাইয়ের। কোনটা যে আগে হবে, আর কোনটা পরে, ভাল করে জেনে নিতে হবে এবার।

দেশের বাড়ি পৌঁছতে প্রায় সন্ধ্যা হয়ে গেল। অনেক কালের পুরনো বাড়ি, ঘরগুলো কেমন অন্ধকার অন্ধকার। বিবর্ণ দেওয়ালের পলেস্তারা খসে পড়ছে ইতি উতি। প্রায় প্রত‍্যেকটা ঘরের দেওয়ালেই বিরাট বিরাট বাঁধানো ছবি ঝুলছে। পূর্বপুরুষদের ছবি, গুরুদেব-মোহান্তদের ছবি, অসংখ্য দেবদেবীর ছবি। ছবিগুলোও রংচটা, হলদেটে।
দাদু ঠাম্মার সাথে দেখা করেই দোতলায় ছুটল টুকাই। সেখানে একটা মস্ত বড় ঘরে কাকাইয়ের ল‍্যাবরেটরী, অনেকটা স্কুলের ফিজিক্স ল‍্যাবটার মত দেখতে। সারাবছর তালা বন্ধ পড়ে থাকে। কাকাই এলে, তখন আবার দরজা খোলা হয়। এঘরের দেওয়ালের সাদা রং-টাও পুরোনো হতে হতে ধোঁয়াটে হয়ে গেছে। ছোটবেলা থেকেই এই ঘরটাই টুকাইয়ের আকর্ষণের মূল কেন্দ্র। তবে কাকাইয়ের স্ট্রিক্ট ইনস্ট্রাকশন, জিজ্ঞেস না করে কোনো জিনিসে হাত দেওয়া যাবে না। 
কাকাই এঘরে নেই। তাহলে হয়তো ছাদে গেছেন। আর তর সইছে না টুকাইয়ের। দুটো তিনটে সিঁড়ি একসাথে টপকে টপকে, চিলেকোঠার পুরনো স্মৃতির আবর্জনার স্তূপ পেরিয়ে, ছাদে হাজির হল সে। কালচে সবুজ শ‍্যাওলার ছোপওয়ালা ছাদ, সন্ধ্যার অন্ধকারে একেবারে কালো লাগছে। কদিন খটখটে রোদ, তাই পা পিছলোচ্ছে না। কিন্তু বর্ষাকালে ছাদে ওঠা বেশ বিপজ্জনক। 
কিন্তু কাকাই ছাদেও নেই। তবে নিশ্চয়ই ঠাকুরতলায় গেছেন। বহুবছর বিদেশে থাকলেও নিজের ছোটবেলার বন্ধুদের একেবারেই ভোলেননি কাকাই। দেশে ফিরলেই, এখনও তাদের সাথে বেশ জমজমাটি আড্ডা হয় ঠাকুরতলার ক্লাবঘরে। সন্ধ্যাবেলায় তাদের সাথে ঠোঙায় করে মুড়ি তেলেভাজা, আর মাটির ভাঁড়ে চা খান অবলীলায়। বন্ধুদের সাথে সিগারেট শেয়ার করেন আগের মতই।
ছাদ থেকে নেমে আসার সময় ছাদের একটা কোণে চোখ পড়াতে, থমকে দাঁড়াল টুকাই। তেপায়ার উপর আকাশের দিকে মুখ করে রাখা কাকাইয়ের টেলিস্কোপ! এটা দিয়েই তো কাকাই রাতের আকাশ দেখেন। দোতলার ঘরে এটা অনেকবার দেখেছে টুকাই। 'নব' ঘুরিয়ে অস্পষ্ট জিনিসকে কিভাবে স্পষ্ট করতে হয়, তাও শুনেছে কাকাইয়ের কাছে। কিন্তু এটা দিয়ে কখনো আকাশ দেখার সৌভাগ্য হয়নি টুকাইয়ের। আজ হঠাৎ এখানে কেন টেলিস্কোপটা? তবে কি আজ রাতে এদিকের আকাশে বিশেষ কিছু দেখা যাবে?

টুকাই গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে গেল সেদিকে। না বলে কাকাইয়ের জিনিসে কক্ষনো হাত দেয় না সে। কিন্তু আজ আর নিজেকে কিছুতেই আটকাতে পারল না। দুরুদুরু বুকে আইপিসে চোখ লাগিয়ে দাঁড়াল।
বহুদূরে অস্পষ্ট কিছু জিনিস। ভাল করে দেখার চেষ্টা করেও কিচ্ছু ঠিকঠাক নজরে এল না। তাই ধীরে ধীরে ফোকাসিং নব ঘুরিয়ে দূরের অস্পষ্ট জগৎটাকে নিজের কাছে আনতে লাগল টুকাই। আর ক্রমশ বিষ্ময়ে মুখটা হাঁ হয়ে যেতে থাকল তার।
জোনাকির মত ঝিকমিকে অসংখ্য আলোর মালায় সাজানো দুধসাদা নদীর মত কি ওটা? আকাশগঙ্গা? ভয়ে আনন্দে সারা গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠল। আরো, আরো কাছ থেকে দেখতে চায় টুকাই আকাশগঙ্গাকে। তাই, ফোকাসিং নব ঘুরতেই থাকল। আর ঝিকমিকে জোনাকিগুলো ক্রমশ আকারে বড় হতে হতে লালচে রঙের হয়ে যেতে লাগল। বাবার সাথে কামারশালে বঁটি ধার দিতে গিয়ে যেমন লাল গরগরে জ্বলন্ত কয়লা দেখেছিল টুকাই, ঠিক তেমনি। 
ভয়ে টুকাই তাড়াতাড়ি নব ঘোরানো বন্ধ করে দিল। কিন্তু আগুনের গোলাগুলোর এগিয়ে আসা তাতে বন্ধ হল না। একজন আরেকজনের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে ছড়িয়ে পড়তে পড়তে, হু হু করে তারা ধেয়ে আসতে লাগল টুকাইয়ের দিকে। মুহূর্তে আকাশগঙ্গা আগুনগঙ্গায় পরিণত হল।
তুবড়ির মত আগুনের ফুলকি আছড়ে পড়তে লাগল ছাদের উপর। টুকাই টেলিস্কোপটা ছেড়ে দৌড়ে চিলেকোঠার ঘরে ঢুকে পড়ল। কিন্তু চিলেকোঠার ঘরের দরজাটা কোথায় গেল? আগেরবার যখন এসেছিল, তখনও তো ছিল দরজাটা। জ্বলন্ত টুকরোগুলো ছিটকে ছিটকে ভিতরে ঢুকে আসছে দরজার খোলা জায়গাটা দিয়ে। টুকাই লাফ দিয়ে ঘরের কোণে রাখা ধুলোয় ভরা একটা হাতল ভাঙা চেয়ারের উপর উঠে পড়ল। ফুলকি গুলো ঝর্নার মত গড়িয়ে গড়িয়ে সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামতে লাগল। আতঙ্কে "কাকাই" বলে চিৎকার করে দুহাতে মুখ ঢেকে চেয়ারের উপর উবু হয়ে বসে পড়ল টুকাই।
মুহূর্তের মধ্যে মনে হল, কে যেন তার কাঁধ ধরে ঝাঁকুনি দিচ্ছে। নিশ্চয়ই কাকাই। চোখ মেলে তাকিয়েই হতভম্ব হয়ে গেল টুকাই। একটা লজেন্সওয়ালা! তাকে ঝাঁকুনি দিতে দিতে বলছে, "কি হয়েছে খোকা? তোমার শরীর খারাপ লাগছে? কোথায় নামবে তুমি? ট্রেন তো দশ মিনিট হল বর্ধমান স্টেশনে ঢুকে গেছে।"

কৃতিকণা চিনি
কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ