তিনটি দাগ - ডাঃ জয়দীপ মুখোপাধ্যায়
মেয়েকে কোচিং এ ছেড়ে আমার হাতে আড়াই ঘন্টা সময় বাঁচে। রাত সাড়ে আটটায় ওকে আবার নিয়ে মেট্রোয় করে বাড়ি ফিরতে হয়। সপ্তাহে দুবার করে এই পবিত্র কাজটি করতে আমার খুব একটা খারাপ লাগে না। মেয়ের যদিও প্রবল আপত্তি এইভাবে ওকে নিয়ে যাওয়া এবং নিয়ে আসায়। এতে ওর নাকি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ হচ্ছে। কিন্তু ষোলো বছরের মেয়ে সাড়ে আটটায় যখন পার্ক স্ট্রিটের ওই কোচিং সেন্টার থেকে বেরোয় তখন আশেপাশের জায়গাটা বেশ নির্জন আর অন্ধকার থাকে বলেই ওকে নিয়ে ফেরাটা দরকার হয়ে পড়েছিল।
মেয়েকে কোচিং এ পৌঁছে আমার হাতে প্রচুর সময়। আমি এই দোকান,সেই দোকান ঘুরে বেড়াই। প্রথম প্রথম দারোয়ান বা দোকানের কর্মচারীরা বেশ খাতির করে দোকানে ঢোকাত, কিন্তু বিক্রিবাট্টা না হওয়ায় আজকাল আমাকে আমল দেয় না। এমন ভাবখানা যেন দোকানে না ঢুকলেই ভালো। আমি রাস্তার চিনাবাদামের দোকানে চিনাবাদাম কিনে দোকানদারের সাথে বিহারের প্রত্যন্ত গ্রামের সুখদুঃখের গল্প জোড়ার চেষ্টা করি, কিন্তু অন্যান্য খদ্দেরের ভিড়ে সেই চেষ্টা প্রায়শই বিফলে যায়। দুবার-তিনবার চিনাবাদাম কেনা হয়ে যায়; কিন্তু দোকানদারের আর আমার সাথে গল্প করা হয়ে ওঠে না।
ফুটপাতের সস্তার বইয়ের দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে বইয়ের পাতা উল্টানোতে বেশ কিছুটা সময় কাটতো। কিন্তু দু সপ্তাহ চলার পর বইওয়ালা আমাকে বই দেখানো বন্ধ করলো। আমাকে দেখলেই ওর বই ঝাড়ার তাড়া পড়ে। আমি সেখান থেকে সরে পড়লেই ওর বই ঝাড়া বন্ধ হয়।
সেদিন ছিল একটা গুমোট গরমের দিন। আকাশে সারাদিন মেঘ থাকলেও বৃষ্টির দেখা নেই। ঘেমে নেয়ে একশেষ হয়ে পার্ক স্ট্রিটে পৌঁছলাম। মেয়েকে কোচিং সেন্টারে পৌঁছে; আজ কোনদিকে যাব চিন্তা করতে করতে উদ্দেশ্যবিহীন ভাবে অন্য একটা রাস্তা ধরে হাঁটতে শুরু করলাম। সন্ধ্যের মুখে বাড়ি ফেরার লোকজন এই রাস্তায় কিছুটা কম। মিনিট পনেরো হাঁটার পর দেখি একটু দূরে একটা বাড়ি বেশ টুনি বাল্বের আলো দিয়ে সাজানো। বিয়ে বাড়িও হতে পারে। কিন্তু আবার ভাবলাম এটা তো বিয়ের মাস নয়। সামনে গিয়ে দেখি গেটের মুখে এক বিশাল পোস্টার লাগানো। কোনো বিখ্যাত চিত্রশিল্পীর আঁকা ছবির প্রদর্শনী চলছে। কিছু কম বয়সী ছেলেমেয়ে প্রদর্শনী দেখার নাম করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে চত্বরে বসে প্রেমালাপে মগ্ন। পাজামা-পাঞ্জাবী পরা, এক মুখ খোঁচা খোঁচা দাড়ি, কিছু ছেলে এদিক ওদিক হন্তদন্ত হয়ে ছুটোছুটি করছে। হলুদ শাড়ি লাল পাড় পরা দুটি যুবতী দ্বারে দাঁড়িয়ে অতিথি অভ্যর্থনায় ব্যস্ত। মুখ্য হলে ঢুকে দেখি প্রমান সাইজের গোটা সাতেক অয়েল পেন্টিং ছবি দেওয়ালে টাঙ্গানো। লাল টি শার্ট আর জিন্স, চোখে সরু ফ্রেমের শৌখিন চশমা, একমুখ সাদা দাড়ি, কিন্তু রং করা কালো চুলের অধিকারী এক প্রৌঢ় ভদ্রলোক ইংরেজিতে ছবির বর্ণনা দিচ্ছেন আর গোটা সাতেক ছোকরা মুগ্ধ নেত্রে ওনার পানে চেয়ে সেইসব গিলছে। বুঝলাম ইনিই সেই স্বনামধন্য শিল্পী যাঁর সৃষ্টি আজ প্রদর্শিত হচ্ছে।
শিল্প-টিল্প আমার আবার খুব একটা আসেনা। আমি কেমন যেন নিরস, কাঠখোট্টা গোষ্ঠীর প্রাণী। দশটা-পাঁচটা অফিস, দুপুরে টিফিন খুলে কিছু রাজনীতির কচকচানি আর সপ্তাহান্তে কচি পাঁঠার ঝোলভাত খেয়ে দুপুরে ঘুমিয়েই আমার দিন বেশ চলে যায়। কলেজে থাকতে ছবি-কবিতায় বছর দুয়েক মাতলেও সে দীর্ঘ সময় আগেকার ঘটনা। এখন সে সব অতীত। সময় কাটাতেই এই চিত্র প্রদর্শনীতে ঢুকে পড়েছি। আমার সামনেই একটি ছেলে ও একটি মেয়ে সেই শিল্পীর গলার মালা পরালেন আর এক বয়স্কা মহিলা রজনীগন্ধার পুষ্পস্তবক দিলেন। বুঝলাম নিশ্চয়ই কেউকেটা শিল্পী হবেন।
উৎসাহিত হয়ে এগিয়ে গেলাম।
আমাদের সামনের ছবির ক্যানভাসে সাদার ওপর হালকা বিভিন্ন সেডের নীল রঙের ব্যাকগ্রাউন্ড। সেই পটভূমিতে তিনটি অসমান প্রায় সমান্তরাল কালো দাগ আঁকা। মাঝের কালো দাগটি অন্য দুটির থেকে একটু বড়। ছবির ডান দিকের একদম নীচে শিল্পীর হস্তাক্ষর।
লাল জামা আর জিন্সের প্যান্ট পরিহিত শিল্পী নিজের শিল্পকর্মের দিকে তাকিয়ে ধ্যানস্থ। বেশ কিছুক্ষণ পর সেই ধ্যানপর্ব শেষ হলে উনি পাশে ওনার গুণমুগ্ধদের পানে চেয়ে স্মিত হাস্যে জিজ্ঞাসা করলেন- "কি বুঝলে?"
পুরো হলে নীরবতা। একটি ছেলে বললো "স্যার, ওই তিনটি কালো দাগ স্বর্গ, মর্ত আর পাতাল বোঝাচ্ছে।"
শিল্পীর মুখে আবার স্মিত হাস্য। উনি পাশে সাদা জামা, সাদা প্যান্ট আর কেটস পরা যুবকের দিকে তাকিয়ে ঘাড়টা নেড়ে মুখে কিছু না বলে তাকিয়ে রইলেন। মানে তুমি কিছু বলো।
বোধহয় প্লেয়ার ছেলেটি প্রশ্নটি আশা করেনি। কোনো বন্ধু বান্ধবের সাথে হয়তো চিত্র প্রদর্শনী দেখতে এসেছে। আমতা আমতা করে বললো-
"এক বোলারের পারস্পেক্টিভ থেকে ছবিটা আঁকা হয়েছে। তিনটি দাগ তিনটে উইকেট। প্রচন্ড মনোসংযোগের সাথে আশেপাশে কিছু না দেখে বোলার কেবল তিনটি উইকেট দেখছে। অর্জুন যেমন পাখির চোখ দেখেছিল এ ছবি সেরকম গভীর ইচ্ছাশক্তি আর নিজের চিন্তাকে কেন্দ্রীভূত করার শিক্ষা দেয়।"
শিল্পীর মুখে এক অনাবিল হাসি। চোখের সুদৃশ্য ফ্রেমের চশমাটা ডান হাতের আঙ্গুল দিয়ে একটু নাকের ওপর নামিয়ে চশমার ওপর দিয়ে আর একজনের দিকে তাকিয়ে ঘাড় নাড়লেন। মানে এবার তোমার পালা।
ইনি এক গুনমুগ্ধা মহিলা। মহিলা একদম ছবির কাছে গিয়ে দেখলেন। আবার দশ ফিট দূরে দাঁড়িয়েও দেখলেন। ছবির পাশের থেকে, মাটিতে বসে দেখলেন। তারপর ব্যাখ্যা দিলেন "তিনটি দাগ জীবনের তিনটি সময়। শৈশব, যৌবন আর বার্ধক্য। আর ওই নীল-সাদা রং সময়ের প্রতীক।"
ইতিমধ্যে আয়োজকরাও সেই আলোচনায় অংশগ্রহণ করা শুরু করেছেন। শিল্পীর হাতে ঠান্ডা পানীয় দেওয়া হলো। আরো অনেক ছবি নিয়ে বলা বাকি। কিন্তু কানাঘুষো শুনলাম; এটি নাকি ওনার সবচেয়ে বিখ্যাত ছবি। এও কানে এলো মুম্বাইয়ের কোনো পার্সী ব্যবসায়ী নাকি কুড়ি লক্ষ টাকা ছবিটার জন্য দিতেও রাজি ছিলেন। কিন্তু শিল্পীর কথায় এ ছবি অমূল্য। উনি বেচতে চাননি।লজ্জায় আমি আমার পাশের লোকটিকে শিল্পীর নাম জিজ্ঞাসা করতে পারছি না।হনুমান না ভেবে বসে। বাইরে পোস্টারে হয়তো শিল্পীর নাম ছিল কিন্তু সেটা ভালোভাবে খেয়াল করা হয়নি। সেটা অবশ্য আমারই দোষ। অনেক সময় আমরা দেখি কিন্তু কি দেখেছি সেটা মস্তিষ্কে ঠিক রেখাপাত করে না। ছবির নীচে ডানদিকে শিল্পীর হস্তাক্ষর আঁকাবাঁকা শিল্পকারেই লেখা। তার থেকে শিল্পীর নাম উদ্ধার করা আমার কম্ম নয়।
ইতিমধ্যে ভীষণ রোগা, বেঁটে কিন্তু বেশ ছটফটে একটি ছেলে শিল্পীর পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। অপুষ্টিতে ভোগা ছেলেটির দিকে শিল্পীর নজর গেল। উনি বোধহয় ছেলেটিকে আগে থেকেই চেনেন। হিন্দিতে হেসে জিজ্ঞাসা করলেন "তুমি কিছু বললে না?"
হলের সবাই ছেলেটির দিকে চেয়ে আছে। সে একটু মাথা চুলকে সপ্রতিভ ভাবেই উত্তর দিলো "স্যার, ওই তিনটি কালো দাগ ত্রিশূলের তিনটি শূল বা ফলা বলে মনে হয়। আপনি বোধহয় ওই তিনটি দাগে সৃষ্টি-স্থিতি-বিনাশ বা ধর্ম-সিদ্ধি-উদ্গম বা অতীত-বর্তমান-ভবিষ্যত অথবা দেহ-মন-আত্মা, এদের যে কোনো একটাকে বোঝাতে চেয়েছেন।"
ছেলেটির কাছ থেকে এরকম জ্ঞানগম্ভীর উত্তর কেউ আশা করেনি। এরকম উত্তর দেওয়ার বয়েসও ওর নয়। আমি অবাক হয়ে ছেলেটির মুখের দিকে একবার আর আবার ছবিটির দিকে চাইলাম। এত কিছু একটা ছবিতে থাকে?
হলে একটা হালকা গুঞ্জন উঠলো। শিল্পীর মুখে আবার সেই হাসি। ইতিমধ্যে প্রদর্শনী হলে খুব মৃদুভাবে রবীন্দ্রসংগীত বাজা শুরু হয়েছে। শিল্পী ডান হাতের দুটি মুক্তখচিত আংটি পরা আঙুল গানের সুরের তালে তালে নাচাচ্ছেন।
হলঘরের একমাত্র বয়স্ক লোকটি এতক্ষন গম্ভীর মুখে চুপ করে ছিলেন। আমাদের নজরে এড়িয়েই উনি সব মন দিয়ে শুনছিলেন। এত আলোচনার পর প্রথম মুখ খুললেন।
"গীতা ও শাস্ত্রমতে ওই নীল সাদা পটভূমি হলো জীবন। তিনটি কালো দাগ জীবনের তিনটি দোষ বা ত্রিদোষ বোঝাচ্ছে।"
আমরা আবার উৎসাহিত হলাম। উনি বলে চললেন "মল, বিক্ষেপ আর আবরণকে ত্রিদোষ বলে। মনের ভিতর সর্বদা অপরের অনিষ্ট চিন্তাকে মল বলে। মনকে সর্বদা চঞ্চল রাখা হলো বিক্ষেপ। জগতের যাবতীয় নাশবান পদার্থের পর্দা মনের ওপরে পড়ে থাকাটাই আবরণ।"
শিল্পীকে একটু চিন্তিত লাগলো। বয়োজ্যেষ্ঠ শিল্প অনুরাগীর অসাধারণ ব্যাখ্যাটি সবাইয়ের মনে ধরলেও উনি মনে হলো সন্তুষ্ট নন। আবার মুখের স্মিত হাসিটি ফিরিয়ে এনে আস্তে বললেন-
"বাঃ"
রবীন্দ্রসংগীত বাজছে-
"বিশ্বজোড়া ফাঁদ পেতেছ, কেমনে দিই ফাঁকি!
অধেক ধরা পড়েছি গো, আধেক আছে বাকি।।
কেন জানি আপনা ভুলে বারেক হৃদয় যায় যে খুলে,
বারেক তারে ঢাকি।
অধেক ধরা পড়েছি যে, আধেক আছে বাকি।।"
শিল্পী চোখ দুটি আধো বুজে ঘাড়টি একপাশে বেঁকিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। আমার পাশের জন কানে কানে বললেন- "শুনলাম বাইরে ফ্রী চা দিচ্ছে, যাবেন নাকি?"
যে কোনো ফ্রী জিনিসেই মানুষের একটা আকর্ষণ থাকে। আমিও উসখুস করছি কখন ফ্রী চা খেতে যাবো। ঠিক সেই সময়ে শিল্পী চোখ খুলে আমার পানে চাইলেন। শিল্পকলা প্রদর্শনীতে এসেছি, নিশ্চয় বেশ শিল্পপ্রেমিক মানুষ হবে এই ভেবে উনি সেই অমোঘ প্রশ্নটি আমাকে করে বসলেন- "আপনি কি বলেন?"
আমি একটু হেসে মনের ভিতরে সত্যি কথাটাই সরল বিশ্বাসে বলে ফেললাম- "স্যার, কিছু মনে করবেন না। আমি অতি সাধারণ লোক। শিল্পী না। সময় কাটাতে ভুল করে শিল্পঅনুরাগীদের মাঝে ঢুকে পড়েছি। আমি ঐ ছবির কিসসু বুঝিনি।"
আশেপাশের বিস্ফারিত জোড়া জোড়া চোখ আমার পানে চেয়ে আছে, যেন বেশ অন্যায় কিছু বলে ফেললাম। এই আকাট শিল্পনিরক্ষর কিকরে শিল্পরাজ্যের সীমানায় ঢুকে পড়লো তা নিয়ে একটা মৃদু গুঞ্জন, মনে মনে গালমন্দ শুরু হলো।
শিল্পী এবার হো হো করে হেসে ফেললেন। ওনার দমকা হাসি রবীন্দ্রসংগীত ছাপিয়ে হলঘরের বাতাসে ছড়িয়ে যেতে লাগলো।
"ওয়েল সেড" শিল্পী এগিয়ে এসে আমার কাঁধে একটা মৃদু চাপড় মেরে বললেন-
"সত্যি কথা বলতে আমিও বুঝিনা।"
হলের মাঝে গুঞ্জন ক্রমাগত বাড়ছে। এবার কেমন যেন মনে হলো সবাই আমাকে কোনো ছদ্মবেশী শিল্পঅনুরাগী ভাবতে শুরু করেছে। শিল্পী বলে চললেন- "শিল্পের এই একটা অদ্ভুত জিনিস আমিও আজ পর্যন্ত বুঝে উঠতে পারলাম না। একটা ছবি, কবির কবিতা বা শিল্পীর সংগীত যে কেন রসোতীর্ণ হলো তার ব্যাখ্যা সবসময় দেওয়া যায় না। ব্যাকরণ সম্মত বা নিখুঁত প্রয়োগ হলেও তো ছবি, কবিতা বা সংগীত সবসময় মানুষের মনে দাগ কাটে না। তার জন্য আলাদা কিছু লাগে। সেটাকে ভাগ্য বলে কিনা আমি জানি না। অনুরাগী কোনটাকে নেবে আর কোনটাকে ছুঁড়ে ফেলে দেবে আগে থেকে বলা ভারী শক্ত।" এতটা বলে উনি একটু জোরে দম নিলেন। আবার বলতে শুরু করলেন "বেশ কিছু বছর আগে ক্যানভাসে সবে ব্যাকগ্রাউন্ড কালারটা দিয়ে সিগারেট ধরিয়েছিলাম। একটু অন্যমনস্কও ছিলামও হয়তো। সেই সময়ে আমার সাত বছরের ছেলে এসে আমার অজান্তে তুলি দিয়ে ওই তিনটি কালো দাগ এঁকে দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে গিয়েছিল। ছেলের আঁকা তিনটি দাগ আমি পরিবর্তন করতে পারিনি। আমি শুধু ফ্রেমে ছবিটা বাঁধিয়ে দিয়েছি।"
সারা হলে কেবল হালকা রবীন্দ্রসংগীত ভেসে আসছে-
"তুমি কি কেবলই ছবি, শুধু পটে লিখা।
ওই-যে সুদূর নীহারিকা
যারা করে আছে ভিড় আকাশের নীড়,
ওই যারা দিনরাত্রি
আলো হাতে চলিয়াছে আঁধারের যাত্রী
গ্রহ তারা রবি,
তুমি কি তাদের মতো সত্য নও।
হায় ছবি, তুমি শুধু ছবি॥"
আমি বাইরে ফ্রী চা খেয়ে মেয়েকে ফিরিয়ে আনতে রওনা দিলাম।
ডাঃ জয়দীপ মুখোপাধ্যায় । কলকাতা
-
গল্প//উপন্যাস
-
26-04-2021
-
-