অটোয়া, সোমবার ২৩ জুন, ২০২৫
এম এ ওয়াজেদ-র দু’টি কবিতা

যুবকের প্রতি আহ্বান
র্বনাশের  "পর ভূমিতে"
     যাসনে যুবক আর 
হাজার লোভী এই নগরে 
     গড়ছে মদের বার৷
যাসনে সেথা মদ - বারেতে 
     করিসনা পান বিষ
পর নারীতে ডাকলে তোরে 
     একটু সময় নিস৷
অবাধ কামে হারাস নাহি 
      জীবন রসের বেগ 
রাখিস আশা বিপুল ঝড়ে 
      কাটবে আঁধার মেঘ৷
দু' হাত ভরে আসলে টাকা 
      খাসনে যুবক সুদ 
দেশ সেবাতে সুযোগ পেলে 
     থাকিসনা ঘুষ-বুঁদ৷
কপাল গুণে জীবন রথে 
     আসলে শাসন ভার 
আর্তজনের  করিস সেবা 
     খুলিস প্রেমের দ্বার৷
গ্রাসনালিটা  ধরিস টেনে 
     খাসনে পরের ধন 
সব মানুষে নিজের মতো 
     ভাবিস আপন জন৷
গরীব সেজে আসলে কেহ 
     আসলে এতিম মুখ 
তাদের তরে দান করে দে 
     আসবে তখন সুখ৷
দলিস পায়ে লোভ লালসা 
     রাখিস সতেজ দিল 
অনাথ ভয়ে খিড়কি দ্বারে 
     লাগাসনা তুই খিল৷
অনাচারের  খাসমহলে  
     আজকে যাদের বাস 
কঠিন ঘায়ে পুড়িয়ে দিবি 
     আনবি ভীষণ ত্রাস৷
ধ্বংস তীরে নতুন করে 
     হাসবে জীবন বাগ 
ধরার তলে তোর আঘাতে 
     মুছবে আঁধার দাগ৷

সুখ পাখির সন্ধানে
গাছের ডালে পিক বসিয়া 
      গাইছে দেখ গান 
সুর শুনিয়া চাতক প্রিয়া 
      ভুলছে অভিমান৷
একটু আগে যে জন ছিল 
     দারুণ অভিমানী 
সুযোগ বুঝে বসলো পাশে 
      চাতক মহাজ্ঞানী৷
প্রেম কাননে চোখ মেলিয়া 
     তাকায় চারিদিক 
গাছের ডালে দরাজ দিলে 
     তুলেছে সুর পিক৷
বুঝতে নাহি চাতক পারে 
     পিকের সুধারস 
আপন মনে ভাবতে থাকে 
     সুরের খ্যাতি-যশ৷ 
কিশোর কালে কেউ বলেছে 
     স্মরণ ভাসাভাসা 
গান গাহিয়া সারা জীবন 
     গড়েনা নিজ বাসা৷
সংগোপনে সুযোগ বুঝে 
     কাকটি গেলে সরে 
ডিম পাড়িয়া মহিলা পিক 
     চলিয়া যায় দূরে৷
চাতক ভাবে ভাবতে থাকে 
     পিকের জন্মঋণ 
পিক কী তাহা প্রকাশ করে 
     করুণ আহা বীণ!
সুর শুনে কী যায়গো বুঝা 
     ব্যথার আর্তনাদ 
যায় কী বুঝা পিকের জ্বালা 
     বিরহী সুখ-স্বাদ?
মূর্খ কাকের মন্দ কপাল 
     বুঝতে নাহি পারে 
হইলে বড় পিক ছানাটি 
     উড়াল শেষে মারে৷
ধরার মাঝে চলছে সদা 
     হাজাররূপী  খেলা 
সুখ পাখিটি অচিন আজো 
     অচিনরূপী  ভেলা৷৷

এম এ ওয়াজেদ 
নওগাঁ সদর , নওগাঁ