এম এ ওয়াজেদ-র দু’টি কবিতা
যুবকের প্রতি আহ্বান
সর্বনাশের "পর ভূমিতে"
যাসনে যুবক আর
হাজার লোভী এই নগরে
গড়ছে মদের বার৷
যাসনে সেথা মদ - বারেতে
করিসনা পান বিষ
পর নারীতে ডাকলে তোরে
একটু সময় নিস৷
অবাধ কামে হারাস নাহি
জীবন রসের বেগ
রাখিস আশা বিপুল ঝড়ে
কাটবে আঁধার মেঘ৷
দু' হাত ভরে আসলে টাকা
খাসনে যুবক সুদ
দেশ সেবাতে সুযোগ পেলে
থাকিসনা ঘুষ-বুঁদ৷
কপাল গুণে জীবন রথে
আসলে শাসন ভার
আর্তজনের করিস সেবা
খুলিস প্রেমের দ্বার৷
গ্রাসনালিটা ধরিস টেনে
খাসনে পরের ধন
সব মানুষে নিজের মতো
ভাবিস আপন জন৷
গরীব সেজে আসলে কেহ
আসলে এতিম মুখ
তাদের তরে দান করে দে
আসবে তখন সুখ৷
দলিস পায়ে লোভ লালসা
রাখিস সতেজ দিল
অনাথ ভয়ে খিড়কি দ্বারে
লাগাসনা তুই খিল৷
অনাচারের খাসমহলে
আজকে যাদের বাস
কঠিন ঘায়ে পুড়িয়ে দিবি
আনবি ভীষণ ত্রাস৷
ধ্বংস তীরে নতুন করে
হাসবে জীবন বাগ
ধরার তলে তোর আঘাতে
মুছবে আঁধার দাগ৷
সুখ পাখির সন্ধানে
গাছের ডালে পিক বসিয়া
গাইছে দেখ গান
সুর শুনিয়া চাতক প্রিয়া
ভুলছে অভিমান৷
একটু আগে যে জন ছিল
দারুণ অভিমানী
সুযোগ বুঝে বসলো পাশে
চাতক মহাজ্ঞানী৷
প্রেম কাননে চোখ মেলিয়া
তাকায় চারিদিক
গাছের ডালে দরাজ দিলে
তুলেছে সুর পিক৷
বুঝতে নাহি চাতক পারে
পিকের সুধারস
আপন মনে ভাবতে থাকে
সুরের খ্যাতি-যশ৷
কিশোর কালে কেউ বলেছে
স্মরণ ভাসাভাসা
গান গাহিয়া সারা জীবন
গড়েনা নিজ বাসা৷
সংগোপনে সুযোগ বুঝে
কাকটি গেলে সরে
ডিম পাড়িয়া মহিলা পিক
চলিয়া যায় দূরে৷
চাতক ভাবে ভাবতে থাকে
পিকের জন্মঋণ
পিক কী তাহা প্রকাশ করে
করুণ আহা বীণ!
সুর শুনে কী যায়গো বুঝা
ব্যথার আর্তনাদ
যায় কী বুঝা পিকের জ্বালা
বিরহী সুখ-স্বাদ?
মূর্খ কাকের মন্দ কপাল
বুঝতে নাহি পারে
হইলে বড় পিক ছানাটি
উড়াল শেষে মারে৷
ধরার মাঝে চলছে সদা
হাজাররূপী খেলা
সুখ পাখিটি অচিন আজো
অচিনরূপী ভেলা৷৷
এম এ ওয়াজেদ
নওগাঁ সদর , নওগাঁ
-
ছড়া ও কবিতা
-
18-01-2021
-
-