অটোয়া, সোমবার ২৩ জুন, ২০২৫
জাকারিয়া আজাদ বিপ্লব-এর দু’টি কবিতা

কলমির গন্ধ
পৌষের কনকনে শীতে
গায়ের লোম গুলো দাড়িয়ে ছিলো। 
আমিও দাড়িয়ে ছিলাম বুচিলতার ঝুলেপরা 
সবুজ ঝোপের তলে।
হাতে ছিল শুকনো হ্মেতের আলে ফুটে ওঠা 
কয়েকটি কলমির ফুল। 
কাঠগোলাপের গাছটায় অনেক দিন ফোটেনা গোলাপ। 
সাদা সাদা সজনের ফুলগুলো পরে থাকে 
দূর্বাঘাসে।
আমার মনটা পরেছিল কয়েকটি ঋতু। 
বেগুনী আর সবুজ হয়ে ওঠা 
তুলসির বনে।
মাথার উপরে বেড়ে ওঠা, 
মানকচুর ডগা হতে গজানো
হলদে ফুলে।
তুমি কেমন চলেছিলে কাঁদামাখা পথ ধরে 
বকুলের তলা থেকে 
পাকুর গাছের শিকড় ধরে। 

মাথার উপর দিয়ে উড়েগেল, 
লাল ঠোঁট রাঙাটিয়ে।
মিউমিউ করে কার পোষা বিড়ালটা পথ 
কেটে গেল। 
এলনা তুমি কান্নায় নুয়ে পরে 
কলমির ফুলগুলো। 
ঝোপ থেকে শিষদেয় টুনটুনি
কাঠ শালিক তাড়াদেয় আমার
কর্নকুহুরে।
বসে শুধু রক্তরাঙা হৃদয় খন্ঢটা,
ধুকধুক ঘন্টা বাজায় তোমার
নামটা ধরে। 
সোনালী সূর্যের আলো গায়ে মেখে 
বলে দেয় তোমার অতল প্রেমের 
স্পর্শ। 
আমিও নির্বাক চাতকের মত চেয়ে থাকি 
একমনে। 

আলকাতরা প্রেম
রাস্তার আলকাতরা রঙের পিচঢালা পথে
যখন চোখ পরে,
আলোর ছটায় দেখি জলের ত্বরন।
ঘৃণার উদগরিত আগুন হতে, 
বেড়িয়ে আসে চোখের কোনায় জলপ্রপাত। 
বুকফাঠা রাগত চিৎকারে।
বেড়িয়ে আসে পলায়ন পর ভালবাসা। 
এটা এক বিধংষি প্রেম।
যাকে  আকরাতে আকরাতে সংকোচিত হয়ে,
হয় বিস্ফোরণ। 
আগ্নেয়গিরি নিচ লুকায়িত 
মনি মুক্তা হিরে জহরত। 
পাথরে খুজেফেরে প্রেমের কানন।

জাকারিয়া আজাদ বিপ্লব
বরিশাল, বাংলাদেশ