মানুষের চোখ - প্রবীর রঞ্জন মণ্ডল
একটা চাঁদপানা রাত মাপছিলাম
খুবই নীরব এক রাতের গভীরে
ওইযে জানালার ওপাশ ধরে সোজা চিলেকোঠা
ওখানে নিরিবিলি দাঁড়িয়ে ছিলাম অনেকক্ষণ।
চাঁদ হেসে বলল, সৌভ্রাতৃত্বের বন্ধনে এসেছি এখন,
তোমাদের কাল রাখী পূর্ণিমা।
আমি বললাম, এইতো তুমি সেদিন সেথায় ছিলে
ঈদের দরগায় কত আবেগ মাখা শরীরে!
ওর ভুবন ভুলান মিটিমিটি হাসি দেখে অবাক হলাম;
প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলাম তীব্র আবেগে
বললাম, তোমার কোনো জাতি বিদ্বেষ, ভেদাভেদ নেই!
সব পারের সবার ঘরে তোমার এতো আনাগোনা?
তবে কেন পৃথিবীর মাটি জুড়ে এতো ভেদাভেদ, এতো বিদ্বেষ!
এতো রক্ত ঝরার বৃথা আস্ফালন অহরহ চলে!
সেটা কেন কাদের শক্তি বলে?
ধর্ম নিয়ে টানাটানি হানাহানি চলছে তো চলছেই
শুধু তোমাকে নিয়ে স্বার্থের দ্বন্দ্ব দেখিনি কখনো।
চাঁদ হেসে বলে, আমার জ্যোৎস্নার আলো
সব চোখেরই কাজল কালো ভালবাসায় আপ্লুত,
তাইত ধর্মবিহীন, জাতিবিহীন, সবার ঘরেই আনাগোনা।
এইযে তোমার রাতের গভীরে আলো মাপা
আর রমজানে যারা আমাকে মাপে
সবার চোখে আমি মাপি শুধু মানুষের চোখ;
রক্ত, মাংস, অস্থি, মজ্জায় অনুভূতিতে একটাই মানুষ।
প্রবীর রঞ্জন মণ্ডল
দঃ২৪পরগনা
পশ্চিমবঙ্গ, ভারত
-
ছড়া ও কবিতা
-
17-10-2020
-
-