প্রবীর রঞ্জন মণ্ডল’র দু’টি কবিতা
ঢেউ যে খুঁজি
এক একটা ঢেউয়ের আস্ফালন
আছড়ে পড়ে নদীর কিনারায়
দূরের বনের গাছের মাথার উপর দিয়ে
নেমে যাচ্ছে আজকের দিনের শেষ সূর্য
এপার ওপার দুপার জুড়ে হেঁটে যাচ্ছে
কচ্ছপ পিঠের মতো একটা ঝুলন্ত বারান্দা।
বাঁকে বাঁকে নির্বাক দাঁড়িয়ে আছে ল্যাম্পপোষ্ট।
তুমি তখনও শেষের কবিতায় মুখ গুঁজে বসে আছো
ছলাৎ জলে পা ভিজাতে নদীর তীরে,
জল আর নুপূরের শব্দ
আমার বুকের মধ্যে বেজে উঠল ঘুঙুর।
টান টান চোখে খুঁজে চলেছি তখন
জীবনানন্দীয় ধূসর পান্ডুলিপি।
আর সেই ট্রামখানা- - - -
যে খানা ভেজা ভেজা রক্তের দাগে
এগিয়ে গেছে আমাদের সীমাহীন অতীত।
সাঁঝের দীপে কলকাতা মাপতে মাপতে
সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত নেমে আসে
আমার জলভেজা মদালসা চোখে ;
রাতের গভীরে ট্রামলাইনে দাঁড়িয়ে
আমি জীবনানন্দ খুঁজি।
বৃষ্টি মাপি
জানালার পর্দায় হাত রেখে
বৃষ্টি মাপি আঁধার রাতের গভীরে
মরমী টোপ টোপ জল পর্দা ভেদ করে
এসে পিপাসার্ত মুখে ধরা দেয়।
জিভের আড়ষ্টতা ভেঙে সরস হয়
মুখগহ্বরের অনন্ত প্রেমে।
জেগে ওঠে বর্ষণ ভেজা রমনী শরীর
আমি আজও এখনো বৃষ্টি মাপি
তোমাকে আগের মতো দেখতে পাবো বলে।
প্রবীর রঞ্জন মণ্ডল
দঃ24পরগনা
পশ্চিমবঙ্গ, ভারত
-
ছড়া ও কবিতা
-
27-08-2020
-
-