অটোয়া, সোমবার ২৩ জুন, ২০২৫
জাহিদ হাসান-এর কবিতা

দেখা অদেখা
মি প্রত্যক্ষ চোখে দেখিনি তেমন জানোয়ার,
যে অসহায় দেহের কোমল হৃদয় রক্ত
মাংস কলিজা ছিড়ে ছিড়ে খায়,
তুলে ফেলে চোখ নখের আচরে
বিকৃত করে অস্তিত্ব
ছারখার করে বুক
শূন্য করে শত কোল
অশ্রুর প্লাবনে সিক্ত হয়ে ওঠে স্বজনের বুক
চির হাহাকার কালো ক্ষণ গেঁথে দেয় স্বজনের স্মৃতিতে,
আমি দেখেছি অনুরূপ বৈশিষ্ট্যের নামধারী কিছু মানুষ।

আমি প্রত্যক্ষ চোখে  দেখিনি তেমন জানোয়ার,
যে বোঝেনা আপন জাতি ভুলে যায় আপন স্বজন,
অবারিত লোভে যাচ্ছে ছুটে, চোখে তার সুদূরে জ্বলন্ত হাতছানি দেওয়া মরিচীকা রূপ স্বার্থের তীক্ষ্ণ আলো,
অন্তরে প্রবল পিপাসা
ভাবনায় সে আলোয় দৃশ্যত পথ,
সব কিছুর সমষ্টিকতায় গতি নিয়েছে ভয়াল রূপ,
মানছেনা কোনো বাধা,
দুমড়ে মুচড়ে ছিন্নভিন্ন করে যাচ্ছে অগোছালো পদ নিক্ষেপে,
কোথায় বসতি কোথায় প্রাণ চোখে যেন সব শূন্য, কোথায় কে হারাচ্ছে প্রাণ তার পদতলে বিলীন হচ্ছে মসজিদ মন্দির গীর্জা ইত্যাদি তীর্থ স্থান,
সবই যেন তুচ্ছ সে প্রাণে,
আমি দেখেছি.........দেখেছি অনুরূপ বৈশিষ্ট্যের নামধারী কিছু মানুষ।

তোমাতেই ডুবে আছি
প্রেমে পড়লে মানুষ বুঝি প্রকৃতি প্রেমি
হয়!
আকাশের দিকে চেয়ে থাকাও একটা
কাজ হয়ে ওঠে তখন, মনের খোরাক
জমাতে।

উড়ে চলা সাদা মেঘটুকুও মনে হয় প্রিয়তমার নিঃশ্বাস,
যেন, কাছে নেই ভেবে নিসৃত এই হতাশার আবেগ উড়ছে অনিলের স্পর্শে।

গাছের পাতা আর ফুলের শুকনো পাপড়িগুলো মৃদু বাতাসেই শুনিয়ে যায় তোমার চুপকথা।

রংধনুটা মনে হয় তোমার মালা, নীলের উপর ছিটানো হালকা সাদার স্পর্শীত পাতলা ওড়না উপেক্ষা করে যেন দৃশ্যত।

তোমার গাল আর গোলাপি ঠোঁট দু'টো কিন্তু গোলাপের ফুটন্ত এবং আধ ফোটা পাপড়ি দু'টোতেই প্রতিফলিত।
আমি চুমু এঁকে যাই প্রতিনিয়ত, সাক্ষী প্রজাপতি আর মৌমাছির ছিটানো পরাগরেনু আর ঠোঁটে স্পর্শীত বিন্দু বিন্দু শিশির কণা।

বহমান নদীর সূচনা প্রান্তে বুঝি তুমি স্নানরত?
তাইতো ঠেউয়ের প্রতি ভাঁজে  দৃশ্যত তোমার এলো চুল।
আলিঙ্গনেই অনুভূত তোমার প্রশান্তির মৃদু স্বর এবং শরীর আর চুলের পাগল করা সুবাস। আমি স্নানে যাই, তোমার স্পর্শে শীতল করি তোমাতে হারানো শত কামনার অশান্ত উত্তপ্ত হৃদপিণ্ড।

গোধূলির সন্ধ্যা তোমার বিলিয়ে দেওয়া আঁচল, আমি মুছে নেই আমার অনুভবের শীতল শরীর।

আঁধারকে খুব বেশি ভালোলাগে বুঝি? শীতল জ্যোৎসনায় তোমার আবেগগুলো তাই বলে যায় !
আমি কথা বলি, চেয়ে থাকি অপলক দৃষ্টিতে, রাত-দিনের চক্রে একটু অগোচরে  প্রতিনিয়ত প্রকৃতির ভীড়ে, ভাবুক মনে, ভিজে যাই তোমার উপমার বৃষ্টিতে।

স্থির নিস্তব্ধ স্বচ্ছ পুকুর জলে, পাতা নিসৃত শিশির বিন্দুর আলতো শব্দ যেন তোমার চোখের পলক।
একি তুমি কাঁদছো কেন?
পাগলি একটা! আমিতো তোমাতেই ডুবে আছি।

জাহিদ হাসান
গাইবান্ধা, বাংলাদেশ