রহস্যের মায়াজাল (আট) - সুজিত বসাক
প্রথমে কিছুই বুঝতে পারছিল না রাকিব। কিছু আঁকিবুকি আর কিছু সংকেত চিহ্ন। ধীরেন্দ্র প্রতাপ আর স্মিথ সাহেবের নোটগুলো দেখার পর কিছুটা বোধগম্য হল। সত্যি গোলক ধাঁধা বটে এই রাজপ্রাসাদ! সেই সাথে এটাও বুঝতে পারল, এই সব ধাঁধা অতিক্রম করে গুপ্তধন পর্যন্ত পৌছানো অত সহজে কম্ম নয়।
হঠাৎ রাকিবের মনে একটা প্রশ্ন জাগল, স্মিথ সাহেব তবে এখনও এখানে পড়ে আছেন কেন? তবে কী ওঁর কাছে কোন বিকল্প ম্যাপ আছে? এই নক্সাটার জন্য যদি কেউ ধীরেন্দ্র প্রতাপকে খুন করে থাকে তাহলে নিশ্চয়ই পূরণ হয়নি। আবার দীপঝিলের ওপারের দাড়িওয়ালা দুজন কোন গুপ্তধনের সন্ধান করে যাচ্ছেন? এটা নিশ্চিত, এই সব ঘটনাগুলোর মধ্যে একটা যোগসূত্র অবশ্যই আছে।
চকিতে একটা বুদ্ধি খেলে গেল রাকিবের মাথায়। তাই যদি হয় তবে তাদের জানালে কেমন হয় যে আসল নক্সাটা তার কাছে আছে? নিঃসন্দেহে তাতে জীবনের ঝুঁকি তৈরি হবে। তা হোক। এটুকু ঝুঁকি তো নিতেই হবে। তবে মুস্কিল হল বার্তাটা কেমন করে দেবে রাকিব? শত্রু মিত্র জানা নেই, কেমন করে পৌঁছুবে তাদের কাছে?
হীরুদাকে কথাটা বলল। কিন্তু হীরুদা কিছুতেই একাজে সায় দিতে চাইল না। তীব্র আপত্তি জানিয়ে বলল– “সাধ করে কেউ এভাবে নিজের মৃত্যু ডেকে আনে? একথা ওদের কানে পৌঁছুলে নিমেষে তোমার প্রাণ নিয়ে নেবে। তোমার মায়ের কোল শূন্য হোক… এটা আমি চাই কী করে?
হাসল রাকিব। চোয়াল শক্ত করে বলল– “ভয় নেই, অত সহজে আমি মরব না। মৃত্যুপুরীর অলি গলি কিছুটা দেখা আছে আমার। এটা আমাকে করতেই হবে। এছাড়া বুদ্ধি নেই… তোমার পরামর্শ চাই।”
হীরুদা অসহায় ভাবে বলল– “তোমার মতো জেদি ছেলে আমি জীবনে দেখিনি। আমি তোমাকে সাহায্য করব বলে কথা দিয়েছি… কথা অবশ্যই রাখব… তবে মনে রেখো তুমি কিন্তু আগুন নিয়ে খেলা শুরু করতে যাচ্ছ… সামান্য ভুলের পরিনাম ভয়ঙ্কর হয়ে আসতে পারে।”
-“জানি। একটা বড় সত্য সামনে আনতে গিয়ে যদি মৃত্যু হয় তো হবে।”
দুজনে বেশ কিছুক্ষণ ধরে নির্ভৃতে গোপন আলোচনা সেরে নিল।
ওঠার আগে রাকিব জিজ্ঞেস করল– “ধীরেন্দ্র প্রতাপের ডায়েরিতে একজন সাহেবের উল্লেখ আছে, তিনি কে?”
হীরুদা বলল– “এই রাজ পরিবারের সাথে সরাসরি যোগাযোগ আছে এমন সাহেব তো একজনই… স্মিথ সাহেব। তবে সাহেব সুবোদের এরাজ্যে আনাগোনা একেবারে কম নেই। কোন সাহেবের কথা উনি লিখেছেন কী করে বলি?”
-“আচ্ছা, তুমি তো স্মিথ সাহেবকে অনেক দিন ধরে দেখছ… লোকটাকে কেমন মনে হয় তোমার? কোথায় থাকে, কী করে কেউ জানেনা। কাল রাতে ফিরেছেন দেখলাম। মাঝখানে দুদিন কোথায় ছিলেন?”
হীরুদা হেসে বলল– “তুমিও যেমন… উনি মনে হয় আমাকে বলে গিয়েছিলেন কোথায় যাচ্ছেন? উনি ওনার মতো চলেন… কাউকে কৈফিয়ত দেননা। লোকটাকে আমার সুবিধের মনে হয় না। কেমন জানি রহস্যে ঘেরা একটা মানুষ! ইতি উতি ঘুরে বেড়ান… মনে হয় কী যেন একটা কিছু সন্ধান করে বেড়াচ্ছেন সব সময়।
-“তোমার কী মনে হয়… উনি ধীরেন্দ্র প্রতাপকে খুন করতে পারেন?”
-“তা বলতে পারব না। তবে ওঁকে আমার যথেষ্ট সন্দেহজনক মনে হয়। সেদিন যদি মুখোশধারীর মুখটা দেখতে পেতুম…।”
-“চালচলন, হাটাচলা এসব দেখে কিছুই আন্দাজ করতে পারোনি?”
-“অতদূর থেকে অতকিছু বোঝা যায় নাকি? তাছাড়া সেই সময় চশমাটাও পড়া ছিল না, বয়স তো কম হল না।”
-“লালগোলাপ” শব্দটি শুনেছ কখনো?”
একটুখানি চমকে উঠল যেন হীরুদা। রাকিবের চোখ এড়াতে পারল না সেটা। আতঙ্ক মেশানো গলায় হীরুদা বলল– “ওই নাম তুমি কোথায় শুনলে? মৃত্যুর দিন সকালে ধীরুদাদাও ওই নামটা বলেছিল। তারপরেই মারা গেল। কে জানে ওটা কোন মৃত্যু সংকেত!”
-“মৃত্যু সংকেত কিনা জানিনা… তবে একটা রহস্য সংকেত তো বটেই। যে রহস্য সংকেতের মধ্যে অনেক কিছু লুকিয়ে আছে।”
-“কে জানে কোন রহস্য আছে। তবে একটা কথা বলি, স্মিথ সাহেব থেকে একটু সাবধানেই থেকো। ওঁর কাছে সবসময় একটা পিস্তল থাকে… আমি নিজের চোখে দেখেছি। ভাল লোক হলে পিস্তলের কী দরকার?”
রাত একটা। নিঃশব্দে ঘর থেকে বেড়িয়ে এল রাকিব। ঝিরঝির করে বৃষ্টি পড়ছে হালকা চালে। বৃষ্টি মাথায় নিয়েই সে চলে এল দীপঝিলের ঘাটে। মায়া আসার কথা।
এই রহস্যপুরীর আর এক মায়াবিনী এই মায়া! মৃত্যু বনের সাথে মায়ার কী সম্পর্ক সেটা জেনে গিয়েছে রাকিব। হীরুদাই সেটা বলেছে। সত্যি, বড় বিচিত্র সেই রহস্য! তবুও রাকিবের মন বলছে, মায়ার আরও অনেক মায়া অপ্রকাশিত হয়ে আছে। তাই ওর সাথে এই সাক্ষাৎটা ভীষণ জরুরি। রাকিব সরাসরি কথা বলতে চেয়েছিল। কিন্তু মায়াই মানেনি। নিজে থেকেই এই মধ্য রাতের সময় দিয়েছে। পরে রাকিবেরও মনে হয়েছে, মায়ার এই সতর্কতার যৌক্তিকতা আছে।
নিস্তব্ধ নিশুতি রাত। বৃষ্টির শব্দ ছাড়া আর কোন শব্দ নেই। দীপঝিলের ঘাটের পাশে একটা ঝোপের আড়ালে দাঁড়িয়ে চুপচাপ অপেক্ষা করতে লাগল রাকিব। বৃষ্টিটা এখন একটু ধরেছে। এলোমেলো নানা কথা রাকিবের মাথায় ঘুরপাক খেতে লাগল। যদি সত্যি সত্যি গুপ্তধন থেকে থাকে তবে একটা অংশ অবশ্যই এদের প্রাপ্য। অদ্ভুত মানুষ ঐ হীরুদা! এই কদিনে, এই নতুন রাজ্যে এসে কতকিছু জানা হল! কত নতুন মানুষ চেনা হল! এমন নতুনত্বে ভরা রোমাঞ্চকর জীবনই তো সে চেয়ে এসেছে বিধাতা পুরুষের কাছে। মৃত্যু একটা অমোঘ সত্য মাত্র, যেটা নিশ্চিত ভাবে মানুষের জীবনে আসে। মৃত্যুর চেয়ে জীবন অনেক বেশি রহস্যময়। তাই তো রহস্যময় জীবনের অমোঘ আকর্ষণ এড়িয়ে যেতে পারে না রাকিব। তারজন্য একটা নিশ্চিত মৃত্যুকে সে অনায়াসে বরণ করে নিতে পারে।
সময় যেন ভীষণ ঢিমেতালে চলছিল। বেশ কিছুক্ষণ বাদে রাকিব একটু সংশয়ে পড়ে গেল। তবে কী মায়া এই সাক্ষাতের কথা ভুলে গিয়েছে? নাকি ঘুমিয়ে পড়েছে? এদিকে আকাশের পরিস্থিতি আবার খারাপ হচ্ছে। একটু পরেই হয়তো ঝমঝম করে বৃষ্টি নেমে পড়বে। সঙ্গে ছাতা নেই, এখানে মাথা বাঁচানোর মতো জায়গাও নেই, শুধু শুধু ভিজতে হবে। জামার পকেট থেকে ঘড়ি বের করে দেখল প্রায় পোনে এক ঘণ্টা ধরে সে অপেক্ষা করে যাচ্ছে। মায়ার আসার সম্ভবনা আর নেই। কোন বিপদের গন্ধ পায়নি তো মেয়েটা? মায়ার পক্ষে এই রাজপুরী কতটা বিপজ্জনক এখন সেটা ভাল করেই জানে রাকিব।
ঘরে ফেরার জন্য পা বাড়াতে যাবে, ঠিক তক্ষুনি বাঁদিকের দূর দালানের দিকে চোখ গেল রাকিবের। ওদিকটা এখন পরিত্যক্ত খন্ডহর। আগে ওখানেই রাজবাড়ির প্রধান মন্দির ছিল। একবার বেশ শক্তিশালী একটা ভূমিকম্পে মন্দিরের একটি অংশ বসে যায়। বেশ কিছু জায়গায় বড় বড় ফাটল তৈরি হয়। ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে যাওয়ায় নতুন করে একটা মন্দির তৈরি করা হয় রাজবাড়ির ভেতর দিকে। যেহেতু এই মন্দিরটা বাইরের দিকে তাই এখনো পুরোপুরি বিলুপ্ত করা হয়নি, ঐ অবস্থাতেই পড়ে আছে। সাপের ভয়ে ওদিকটা আর কেউ যায় না। রাকিব কাছাকাছি গিয়ে দেখেছে, মন্দির ভেঙেচুরে একসা, অশ্বত্থ বট গজিয়েছে কার্নিশে। চারদিকে আগাছার জঙ্গলে ভর্তি। কিছু বিষাক্ত গাছও আছে সেখানে। রাকিবও ভেতরে ঢোকার সাহস পায়নি।
একটা ক্ষীণ আলোর আভাস এবং আলোটা নড়ছে যেন। ভীষণ কৌতূহল হল রাকিবের। সেই সাথে সাবধানও হল। কোন হিংস্র জানোয়ার হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়।
এই চত্ত্বরে হিংস্র পশুদের আনা গোনা আছে সেটা অনেকের মুখেই শুনেছে রাকিব। পায়ে পায়ে এগিয়ে গেল সামনের দিকে। কিছুটা যাওয়ার পর নিশ্চিত হল, ওটা কোন হিংস্র পশু নয়, সম্ভবত কোন মানুষ। কৌতূহল তাতে আরও বেড়ে গেল। এতরাতে কে ওই পরিত্যক্ত ভয়ঙ্কর মন্দিরের দিকে যাচ্ছে? ওর কী প্রাণের এতটুকু মায়া নেই?
দ্রুত পায়ে অনুসরণ করল রাকিব। কাছাকাছি যেতেই হতভম্ব হয়ে গেল। সম্পূর্ণ কালো পোশাকে আবৃত একটা ছায়ামূর্তি। হাতে একটা ক্ষীণ আলো যা দিয়ে সে পথ দেখে এগিয়ে যাচ্ছে। অন্ধকারে মুখ দেখার কোন উপায় নেই। প্রথমে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়লেও দ্রুত নিজেকে সামলে নিল। নিজের কর্তব্য ঠিক করে ফেলল মুহূর্তে। এই সুযোগ কিছুতেই হাতছাড়া করা যাবে না। রাজবাড়ির সাথে এই ছায়ামূর্তির যে গভীর সম্পর্ক আছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। সুতরাং একে ধরতে পারলে অনেক রহস্যের পথ খুলে যাবে।
নিজেকে প্রস্তুত করে একদম কাছাকাছি পৌঁছে গেল রাকিব। তারপর আচমকা জোরালো টর্চের আলো ফেলল সোজা তার মুখের ওপর। মুখে মুখোশ তবুও রাকিবের মনে হল, কিছুটা হলেও ঘাবড়ে গিয়েছে মুখোশধারী। আর এক মুহূর্ত সময় নষ্ট করা চলবে না। কিছু বুঝে ওঠার আগেই রাকিব ঝাঁপিয়ে পড়ল মুখোশধারীর ওপর। শুরু হল অন্ধকারে ধস্তাধস্তি। কিন্তু দুর্ভাগ্য রাকিবের ও হাতের বদলে ধরতে পেরেছিল ছায়ামূর্তির ঢলঢলে জামার হাতা। ফলে ছায়ামূর্তি ছিটকে বেড়িয়ে যেতে সক্ষম হল। যাবার সময় জামার ছেঁড়া অংশ রাকিবের হাতে থেকে গেল। রাকিব তাড়া করল তাকে। ছায়ামূর্তি দৌড়ে ঢুকে পড়ল ভাঙা মন্দিরের মধ্যে। তারপর নিমেষে কোথায় যেন সে হারিয়ে গেল। রাকিব তন্নতন্ন করে খুঁজেও তার সন্ধান বের করতে পারল না। প্রায় চোখের সামনেই ছায়ামূর্তি ভ্যানিশ হয়ে গেল। আরও একটু সতর্ক হওয়া উচিত ছিল তার। এখনও রাকিবের বুক ওঠানামা করছে দ্রুত লয়ে। একবার গলাটা চেপে ধরতে পারলে ঠিক কাবু করা যেত তাকে।
কিছুক্ষণ বাদে রাজবাড়ির দিক থেকে টর্চ হাতে একজনকে এদিকেই আসতে দেখল রাকিব। আবারও অবাক হল। এতরাতে কে আবার আসছে এদিকে? আর একটু কাছে আসতেই চিনতে পারল, স্মিথ সাহেব হন্তদন্ত হয়ে আসছেন। রাকিবকে দেখে উনিও অবাক হলেন।
উদ্বিগ্ন গলায় জিজ্ঞেস করলেন– “এতরাতে এখানে কী করছেন? ঘরের জানালা দিয়ে হঠাৎ নজরে পড়ল এদিকে আলোর ছোটাছুটি চলছে… অবাক লাগল… তাই ব্যাপারটা দেখার জন্য ছুটে এলাম। কোন বিপদ হয়নি তো রাকিব?”
রাকিব বলল– “আমিও আপনার মতোই একটা আলো দেখে কৌতূহল বশে পিছু নিয়েছিলাম।”
স্মিথ সাহেব কিছুটা সময় থম মেরে রইলেন, তারপর বললেন– “কোন মুখোশধারীর সাথে দেখা হয়েছিল আপনার?”
রাকিব ভীষণ অবাক হল। এই রাজবাড়ির প্রত্যেকটি চরিত্রই রহস্যে ঘেরা। সুযোগ পেলেই তারা স্বমহিমায় উজ্জ্বল হয়ে উঠছে। তবে স্মিথ সাহেবের কাছ থেকে এই চমক খুব একটা অস্বাভাবিক মনে হল না রাকিবের। বরং খুব ক্ষীণ হলেও একটা আশার আলো দেখতে পেল যেন। সতর্ক ভাবে বলল– “হ্যাঁ, দেখা হয়েছিল। অল্পের জন্য ধরতে পারলাম না। হাত ফস্কে বেড়িয়ে গেল। মুখোশধারী কে… আপনি জানেন?”
-“না জানি না। তবে মুখোমুখি হয়েছি দুবার। রাতের অন্ধকারে ও রাজবাড়ির আশেপাশে ঘুরে বেড়ায়। তড়িৎ গতি ওর। শুনলে অবাক হয়ে যাবেন, অবিকল চিতার ডাক নকল করতে পারে। আমাকে প্রথম প্রথম ঐ ডাক দিয়ে ভয় দেখানোর চেষ্টা করত। একবার তো চিতা ভেবে গুলিও ছুড়ে ছিলাম। কিন্তু লাগেনি। তারপর আর ওই চেষ্টা করেনি।”
রাকিবের মনে প্রশ্ন জাগল, এই কী তবে হীরুদা বর্ণিত সেই মুখোশধারী? ধীরেন্দ্র প্রতাপের খুনি? কিন্তু স্মিথ সাহেবের কথাও পুরোপুরি বিশ্বাসযোগ্য মনে হল না রাকিবের।
শুধু কী আলো দেখেই উনি টের পেয়ে গেলেন এখানে কিছু ঘটছে? নাকি আরও কিছু আছে?
উনি নিজেই মুখোশধারী নন তো? এই টুকু সময়ের মধ্যে কোন গোপন পথে বেড়িয়ে আসা তার পক্ষে খুব কী অস্বাভাবিক?
এর আগে খুব সাধারণ দু’চারটে কথা ছাড়া সেভাবে আলাপ হয়নি স্মিথ সাহেবের সঙ্গে। আজ ভাব জমানোর চেষ্টা করল– “আপনি তো বহু বছর ধরে এখানে যাওয়া আসা করছেন। অনেক কিছুই জানেন এখানকার। আমি শুনেছি ধীরেন্দ্র প্রতাপকে আপনি খুব স্নেহ করতেন… ওর মর্মান্তিক মৃত্যু আপনাকে কষ্ট দেয়নি?”
-“অবশ্যই… ধীরুর কথা আমি এখনো ভুলতে পারিনি… পারবও না। হি ওয়াজ এ রিয়েল জেন্টেলম্যান। গুড স্পোর্টসম্যান অলসো।”
-“আপনার কী মনে হয়… ওর মৃত্যুটা নর্মাল ডেথ ছিল? নাকি খুন?”
একটু যেন অপ্রস্তুত হলেন অ্যালান স্মিথ। ঠিক সেই সময় তীক্ষ্ণ বিদ্যুতের রেখা খেলে গেল আকাশের গায়ে। তার একটু পরেই তীব্র গর্জন। সেই সাথে শুরু হয়ে গেল তুমুল বৃষ্টি। স্মিথ সাহেব দ্রুত পায়ে ঘরের দিকে যেতে যেতে বললেন– “আসুন আমার ঘরে… সব বলছি।”
রাকিব তাকে অনুসরণ করল। চলবে…
সুজিত বসাক। দিনহাটা, কুচবিহার
-
গল্প//উপন্যাস
-
09-08-2020
-
-