অটোয়া, সোমবার ২৩ জুন, ২০২৫
হরিশঙ্কর কুন্ডু-র কবিতা

দুমুঠো ভাত জোটে
ঘূর্ণিঝড়ে বেহাল সোঁদরবন
রাক্ষুসে রূপ নদীর বিভৎসতা
শামুকচরে ডুবল বাড়ি ঘর
ছন্নছাড়া মরছে জীবন যাপন

বাঁধ ভেঙেছে নোনা জলের দাপট
নাদের আলির টুকরো ধানাজমি
যায় ভেসে যায় বেনোজলে সেটুক
ভিটে মাটি এখন পড়ে কাঁদে

আঁধার রাতে বাড়ছে ঢেউয়ের স্রোত
খাড়ির মুখে ডুবছে হেতালবন
গুমরে ওঠে পোয়াতি এক বউ
মাঝদরিয়ায় পরান মাঝি একা

জলোচ্ছ্বাসে বিপন্ন হয় সুখ
ভুখায় মরে উজাড় করা গ্রাম
শহর থেকে ত্রাণ যদিবা আসে
দ্বীপে তখন দুমুঠে ভাত জোটে

সে কি আলো নয়
কোথায় খুঁজেছো আলো
আঁধার নেমেছে দেখো
কেনো আছো অন্ধকূপে
ভালো মন্দ সকল দ্বন্দ্ব
সাথে নিয়ে চলো

যে আলোর প্রয়োজন ছিল
তাকে পিছনে ফেলে
কেনো তুমি বাতিওয়ালা খোঁজো

তোমার মনের ঘরে যে আলো জ্বলে
তাকে তুমি আঁধার ভেবেছো

নিঃসঙ্গ দুপুরে ঐ ছায়াপথ বেয়ে
যে আসে গহীন মনে
সেকি আলো নয়
কিংবা ওপার থেকে ছুঁয়ে যায় মেঘ
আলাদীন আলো
তাকে কেনো আড়ালে আঁধার করেছো

তবু বলে রাখি
ছায়া ছায়া বাতাসেরা প্রতিদিন আসে
তোমার ঘরেতে রোজ আলো জ্বেলে যায়

হরিশঙ্কর কুন্ডু
কোলকাতা
পশ্চিমবঙ্গ, ভারত