অটোয়া, সোমবার ২৩ জুন, ২০২৫
অবশেষে - আঃ আজিজ

তাকে বলে দিও
শেষ বিকেলে সোনারোদে
একাই পায়চারি করতে পারি
সুবাস বিহীন মুক্ত হাওয়ায়
সঙ্গিহীন একাই ঘুড়তে পারি।

তাকে বলে দিও
ঘড়ির চাবি বের করে রেখেছি
তাই আর কখনো ঘন্টা দিবে না
তাই কখনোই পাচঁটা বাজবে না
এ মন কারো অপেক্ষা করবে না।

তাকে বলে দিও
পাশের কমল যে হস্ত পদ যুগল
আমার পাশে হাত ধরে হাটে না
মেঠো পথ তাকে ভুলে গিয়েছে
আমার পাশে তাকে আর খুজে না।

তাকে বলে দিও
নদীর পারে আছরে পরা ঢেউ গুলি
আমি একা একাই গুনতে পারি।
নেচে বেড়ানো মাছ গুলি চোখে পড়ে
ডুব দিলেও দিক বুঝতে পারি।

তাকে বলে দিও
দখিনের জানালা এখন খোলা রাখি
গোলাপ গাছটি এখনো পুষ্প দেয়
সে পুষ্প খোপায় তুলার কেহ নাই
পাপড়িতে হাত বুলিয়ে বলে দিয়েছি।

তাকে বলে দিও
জানালায় জোস্না স্নানে মগ্ন থাকি
জোস্না আসার সময়টা স্বরণ রাখি
জোস্না এলে উপভোগের অনূভুতি
বিলাসিতার আনন্দে ব‍্যস্ত থাকি। 

তাকে বলে দিও
অপেক্ষার বুলবুলি দূর অজানায়
ঘরে বেধে। আমার পর হয়েছে
সময় আমায় সব বলে দিয়েছে
দেরি হলেও, মন বুঝতে পেরেছে।

তাকে বলে দিও
নোনাজল ছাড়াই অগভীর রাতে 
এখন চোখে গভীর নিদ্রা আসে।
নিদ্রা দেখে গগন তারা ভরা রাত
বাগের পুষ্প রাত জাগা চাঁদও হাসে।

তাকে বলে দিও
অবশেষে মন। 
তাকে বুঝতে পেরেছে
অবশেষে মন। 
তাকে ভুলতে পেরেছে
অবশেষে মন। 
তার তরে বারটি বছর
তাকে উপহার দিয়েছে।     

আঃ আজিজ। বাংলাদেশ