অটোয়া, সোমবার ২৩ জুন, ২০২৫
শান্তনু দত্ত-এর কবিতা

সমকোণ
রীর সন্ধানী মন যখন করে
জ্বালাতন।
তখন নিঃসঙ্গ নির্জনতায় উপমা 

রহিত হয়ে, আমি খুঁজে মরি
তোমার চরণ।
বিকালের দিকে আমার ক্লান্ত 
চোখে, ছায়া পড়ে এক অজানা
অচেনা গ্রহের।
স্বপ্ন ও বাস্তবের মাঝামাঝি ছুটে
চলে মন।
ইতিহাসের ছেঁড়া পাতা থেকে 
তাকে পিছু ডাকে
প্রেম, আবেগ ও মরণ।
তারপর কিছু কিছু প্রশ্ন এসে 
ভিড় করে মনে।
তারা ছুটে যেতে চায় সমস্ত
উত্তরের উৎস সন্ধানে।

একদিন, একবুক আকাশকে 
চোখে রেখে হয়ে যাবো
পাখী।
উড়ে যাবো দিগন্ত থেকে আরও
দূর দিগন্তের পানে, কেননা
আরও কিছু কথা আছে বাকী।
চলমান বিন্দুর মতো ছুটছি
সররেখায়, জীবন বৃত্তের সন্ধানে।
এখানে ত্রিভুজ নেই, অতিভুজ নেই,
বহুভুজ মাকড়সার মতো,
নিজের শরীর দিয়ে জাল বুনে
ভাবছি জীবন বাজি রেখে যাবো
সমকোণে।

মমি
সেদিন বিকালে হঠাৎ ছুটে 
এলো মৌসুমি।
জল ভরা চাহনী তার, দেখে 
মনে হোল,
ভিজে বাতাস আজ হবে 
হৃদয়ের বধ্যভুমি।
ওপারে বারান্দায় তাকিয়ে দেখি, অপলক দাঁড়িয়ে আছো তুমি।
পিরামীড বেয়ে চলি, আমি যেন
এক, স্যভতার জীবন্ত মমি।
দূর আকাশ থেকে আসে 
বৃষ্টির গান
কে তাতে বেঁধে দিলো সুখ।
বিবর্ণ মুখোশগুলো করে কলতান
ওরা বলে, তুমি সেই মুখ।

বৃষ্টিতে ভিজে যাক কয়েকটা 
অনুভুতি
চলো যাই মৃত কোন 
সভ্যতার মাঝে।
কয়েকটা ঝরা পাতা 
কুড়িয়ে আনি
তোমাকে সাজাবো আজ 
পাতার সাজে।
বিবর্ণ মুখোশগুলো আবার 
চেঁচায়,
বলে ভিজো না, করবে অসুখ।
আমি হেসে বলি,  মরে গেছি কবেই
সময়ের কালস্রোতে শুধু 
ভেসে চলে,
হয়তো আমার মুখ।

শান্তনু দত্ত। বাগনান