অটোয়া, সোমবার ২৩ জুন, ২০২৫
জহুরুল ইসলাম-এর কবিতা

অন্ধকারে-
র অন্ধকারে-
এই ভেসে যাওয়া পথ- পথের কিনার,
একটা মৃত ফড়িঙ ভাসে;
ঢেউয়ের আঘাতে মুখ গুঁজে চলে।
ভিজে ভিজে সেও যেন- খেলায় কাতর
জলের শরীরে।

কীটের আঘাতে যেই খসে পড়া ফুল-
অবিরাম শুয়ে থাকে 
বর্ষার জলের বিছানায়,
ফুলের কলির মতো নরম হৃদয়।

আর অন্ধকারে- আলো চাই-
তীক্ষ্ণ আলো।
কীটের দেহের সব কণা
ভেঙ্গে যাবে,
অগ্নিগিরির মতোন পুড়ে-  গলে যাবে। 

আগুনমুখী বর্ষা
ভেজা বাতাসে পুড়িয়ে দেয়
সব- ভিতর বাহির।
কপালে চাঁদ ঠেকাতে গিয়ে
কবে আগুন লেগেছে-মনে নেই কিছু।

এখন- বৃষ্টির
বুদবুদের ভিতর আগুন
দেখি, যেন বৈশাখের ঝাঁয়েলি আগুন;
লকলকে আগুন।

আগুনমুখী বর্ষার পানিতে
জ্বলে ওঠে সব।
বৃষ্টি থামে,
থামে নাকো অনলের ঢেউ।

বর্ষার বিকেলে-
কপালে যখন সূর্য ওঠে,
অমন আঁধার কেনো সবকিছু তখন!         

জহুরুল ইসলাম
মির্জাপুর, দাপুনিয়া
পাবনা সদর, পাবনা
বাংলাদেশ।