অটোয়া, সোমবার ২৩ জুন, ২০২৫
হরিশঙ্কর কুন্ডু’র কবিতা

বুকের ভিতর মরুভূমি
দুদিন আগে উড়ে এলো
দূর প্রবাসের চাতক পাখি
বলল আমায় -- সব পেয়েছির এইযে রাজা
উজাড় করা সুখ দেবে কি

সুখতো আমি দিতেই পারি 
ওইযে দূরের আকাশ থেকে
মেঘমল্লার বাদল এসে -- বৃষ্টি যত ঝরবে ঝড়ুক
বুকের মধ্যে উজার করা তৃষ্ণাগুলো মিটিয়ে দেবো

আজকে চাতক কোথায় গেলি
এইতো সেদিন সুখ চেয়েছিস
বুকের পাঁজর জড়িয়ে ধরে -- ছারলি না আর
তবুও আমি হাপিত্যেশে কাঙালপনা করে মরি

চাতক তুই এমন কেন
কালকে এবং আজকে ফারাক
অন্যকারো সঙ্গ পেলে -- অভাবী তুই তৃষ্ণা মেটাস
আমি তখন সঙ্গবিহীন নিঝুম দুপুর একলা থাকি

তুই কি চাতক এমন ছিলিস
আমার বুকে বিষ ঢেলেছিস
কাতর হয়ে ডাকছি আমি -- নেই সাড়া নেই 
আয়না চাতক যা দেখে যা বুকের ভিতর মরুভূমি 

উজান প্রেমের বাজি ধরিস
হাল্কা স্নানের জলচ্ছবি বিকেলবেলায়
মেঘ যেন আজ মেলছে ডানা শ্বেতবলাকা
স্বপ্নগুলো বুকের ভিতর জাগায় আশা কি আল্হাদে
পথ চেয়ে ঠায় বসে আছে পাহাড় তলীর মন প্রেয়সী

আমি নাহয় নীল গগনের গহীন তোমার আকাশ হবো
অনেক নীচে আঁকা বাঁকা খাদের কোনে বইবে নদী
জলোচ্ছ্বাসে বাষ্প হয়ে পেঁজা তুলোর আঁকবি ছবি
সবকিছু তোর সইবো বুকে যেমন খুশি ওড়াস ফানুস

সীমন্ত দূর পাখির দেশে পালক ছোঁয়া ও মনামি
চিকন শরীর আল্পনা দেয় বৃষ্টি ভিজে দিগন্ত পথ
গভীর সাগর উথাল ঢেউয়ে অজানা চর খুঁজতে থাকি
আমার আমি নিসর্গ তুই উজান প্রেমের বাজি ধরিস

হরিশঙ্করকুন্ডু
সোনারপুর, কোলকাতা,
পশ্চিমবঙ্গ, ভারত।