অটোয়া, সোমবার ২৩ জুন, ২০২৫
সহযাত্রী - মমতা বিশ্বাস

    'ছ'টা ব্রেড অমলেট দেবেন আমাদের।'
     'না শুনেই; অর্ডার দিয়ে দিলে? আমি খাব না। সঙ্গে আনা অনেক খাবার আছে, সেগুলো আগে শেষ হোক।'
     'তুমি খাবে না বলে অন্যেরা খাবে না? মিষ্টির প্যাকেটটা বের করে দাও; ওটা একটা করে খেলে শেষ হয়ে যাবে।'
     'বাবা, দুপুরে চিকেন বিরিয়ানি অর্ডার দেবে?'
     'ঋষি, বাড়ি থেকে তোকে এত করে বোঝালাম, অনেক জায়গায় বেড়ানো, খাবার-দাবার একটু বুঝে খেতে হবে। এমনিতেই তো পেটের অবস্থা ভালো নয়। ফাস্টফুড খেয়ে খেয়ে পেটের বারোটা বাজিয়েছিস্!'
     'নিম পাতা, কালমেঘের পাতা সঙ্গে এনছো নাকি?'
     'এক্কেবারে বাবার মত ইনসাল্ট করে কথা বলিস! আসলে- যা শুনবি তাই তো বলবি! বেড়াতে আসা নিয়েই কী কম কথা শুনলাম, যেহেতু বেড়াতে আসারটা আমারই ইচ্ছায়। সংসার আর স্কুলের ৺জাতায় পিষ্ট হওয়া সারা বছর। কাছে দূরে বেরিয়ে পড়লে একঘেঁয়েমিটা কাটে, তাই জোরজবরদস্তি করে বেরিয়ে পড়ি। টিকিট কাটা থেকে শুরু হয়ে যায় কটু বাক্যবাণ! দক্ষিণ ভারতের মন্দিরে ছেলেদের আলগা গায়ে ধুতি পরে প্রবেশ করতে হয়; শোনার পর থেকে শাসাতে শুরু করেছে -সে কোনো মন্দিরে তো ঢুকেই না; টাকা খরচ করে অমন মন্দির দেখতে যাওয়া ফালতু। হজম করতে হয়; বেড়ানোটা যাতে বন্ধ না হয়; সেইজন্যে। কত খরচ হবে -সে হিসেবটাও কী কমবার বলেছে? যদিও এ-খরচটা আমার।'
     'তোমার একার টাকা খরচ হয় নাকি? আমি কী খালি হাতে আসি? বেড়াতে এসে যেখানে যা আছে সব দেখতে হবে; কিছুটি বাদ দেওয়া যাবে না! বাড়ি ফিরব কীভাবে; সে হুস তো থাকে না! তখন তো আমার পকেট থেকেই যায়।'
     'তা তো যাবেই, আমিই বা সব দিতে যাব কেন?
     বাড়ির কাছে দীঘা বেড়াতে গিয়ে তোমার ছোটো ভাই ত্রিশ হাজার টাকা খরচ করে এলো- তখন তোমরা কেউ একটা কথাও বলনি?' আমার বেড়াতে আসার খরচ নিয়ে,যত মাথা ব্যথা! তোমার ছোটো ভায়ের বৌ -এর কত হাত খরচ জানো? আমি করি? ' সাজগোজের জন্য একটা পয়সা ও খরচ হয় না।পায়ে হেঁটে স্কুলে যায়- আসি।'
     'মা - তুমি ইচ্ছে করলেই তো স্কুটি কিনতে পারো?'
     'কিনলে, আমি চার চাকায় কিনব।'
     'অডি কিনবে তো মা'?
     'আমার স্ট্যাটাস যেমন তেমনই কিনব। দুর্নীতির পয়সায় ওসব বিলাসিতা করা যায়। তিন বছর ধরে স্কুলে 'ইন চার্জে'র দায়িত্বে আছি, কেউ বলতে পারবে না একটি পয়সা এদিক-ওদিক করেছি; বাবা-মা তেমন শিক্ষা দেননি।'
     'ওসব কথা আর বল না! তোমার মেজদা তো টাকার কুমির! এত কামিয়েছে যে তিনটে চাকরি করলেও অত টাকা আয় করা যায় না। লোকটার জেলখাটা উচিত?'
     'আমি তো তোমাদের বাড়ির কে কত আয় করে - কোনো দিন খোঁজ নিই না। কখনো বলিও না। কাস্টমসের চাকরি; বাধ্য হয়ে নিতে হয়। না নিলে চাকরী করায় দায় হয়ে পড়ে! সেই সঙ্গে জীবন নিয়ে টানাটানি।'
     'যত দোষ সর্বশিক্ষা দপ্তরের! মুণ্ডুপাত তো রাত দিন করো! লাখ লাখ টাকা আসছে, কাজের কাজ কিছু হচ্ছে না! সব টাকা পকেটে ঢোকে! শুনতে শুনতে কান পচে গেল!'
     'ওভাবে বলে না। ট্রেনের মধ্যে পারিবারিক কথা-বার্তা বলা ঠিক নয়। লোকে কী ভাববে?'
     'আমি কী বলতে চেয়েছি? ওই তো তুলল। সব সময় অপমান, অপদস্ত করবে। স্ত্রী হিসাবে কোনো দিন নুন্যতম মর্যাদাটুকু দেয় না। স্কুলে না গিয়ে মাস মাইনের পুরো টাকাটা হাতে তুলে দিলে কোনো সমস্যা থাকে না।'
     'বাবার সঙ্গে ওভাবে কথা না বললে কাজ হয় হয় না।' অডি কেন কিনবে না মা? 'লোকে পঞ্চাশ লাখ টাকা খরচ করে বাড়ি কিনতে পারে আর চল্লিশ লাখ টাকা খরচ করে গাড়ী কেন যে কেনে না -বুঝতে পারিনা?'
     'যুক্তি দেখ! বাড়ি আর গাড়িকে এক করে ফেলেছে। ক্লাস এইটে পড়ার সময় ছেলেকে স্মার্টফোন কিনে দিয়ে, ওভার স্মার্ট করে দিয়েছে। চোখের সামনে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে-কোন হুস্ আছে বাবার!'
     'বাবা -বাবা- মাদ্রাজে নেমে আমাকে আই ফোন কিনে দেবে? জানতো কাকিমা, বাবাকে বললেই ইলেকট্রনিক গুডস কিনে দেয়। এব্যাপারে বাবার কোনো কৃপণতা নেই। ও বাবা দেবে তো? দেবে কিন্তু।'
     'শুনছিস্? ছেলেকে কেমন আস্কারা দিয়েছে!বলা যায়না চেন্নাই এ নেমে কিনেও দিতে পারে।
     দেখছিস্ তো কাল থেকে? আমার ব্যক্তিগত পছন্দ, অপছন্দের কোনো দাম আছে?'
     'বাবা, দাম কমে গিয়েছে দেখ?'
     ' জয়েন্টের রেফারেন্স বই এর দাম কম হয়েছে কিনা -দেখ তো?
     'বেড়াতে এসে বই, বই কর কেন -বলতো? 'রাতদিন শুধু পড়ার কথা!ভাল্ লাগেনা!'
     'ছেলে যখন যা বলবে, তাই শুনবে। মাথায় উঠিয়ে ফেলেছে। আমার কোনো কথার গুরুত্ব দেয়নি কোনো দিন।'
     'তোমরা চুপ করবে? না কী? সেই ভোরবেলা থেকে শুরু করেছো। ঠিক আছে চেনাই এ নেমে আমাকে কলকাতার ট্রেনে তুলে দিয়ো।'
     সারাদিন তোমরা ঝামেলা করছ। এবার কিন্তু আমি ঝামেলা শুরু করব। তখন বুঝবে কেমন ঠ্যালা? না হলে চেন্নাই গিয়ে; ফ্লাইটের টিকিট কেটে বাড়ি চলে যাবে।'
     'তোরা ঝগড়া থামাবি? না কী?
     'ছেলেটার মুখে সব সময় দামি জিনিসপত্রের কথা। চাহিদার তো শেষ নেই! একটা পূর্ণ হলেই আর একটার বায়না। বড়ো ভাসুর দামি, ব্রাণ্ডডেড জিনিসপত্র কিনে দিয়ে বদ অভ্যাস করিয়েছেন। যা আয় করেন এই ভাবে উড়িয়ে দেন। কোনো হিসেব আছে?'   
     'হিসেব থাকলে সংসার করতো। সঞ্চয় করবে কার জন্যে? তাই দুই হাতে উড়ায়!'
     'সঞ্চায় তো ওনার নিজের জন্যই করতে হবে। টাকা-পয়সাই তো বুড়ো বয়সের আসল লাঠি!'
     'একদম ঠিক কথা বলেছিস।'
     'ছেলেটাকে কিচ্ছুটি বলে না। রাত -দিন মোবাইল নিয়ে পড়ে থাকে। রাত দুটো-তিনটে পর্যন্ত পাপজি খেলে। শুধু কী তাই জোরে জোরে হিন্দিতে, ইংরাজীতে কথা বলে। চিৎকার করে লাফিয়ে উঠে। পাশের ঘর থেকে শুনলে মনে হবে, সামনে বসে থাকা কারো সঙ্গে উত্তেজিত হয়ে কথা বলছে। এসব চোখের সামনে সহ্য করা যায়? স্কুলে অবাধ্য, বেয়াদব ছেলেদের আগের মতো‌ শাসন করতে পারিনা। শাসন করতে গেলেই নিজের কাছে, নিজেই ছোটো হয়ে যায়! মনে হয় নিজের সন্তানকেই ঠিকমতো শিক্ষা-দীক্ষা দিয়ে মানুষ করতে পারলাম না; পরের ছেলেকে শাসন করব কেমন করে? মাঝে মাঝে কাজের মেয়ের সঙ্গে নিজের পার্থক্য খুঁজে পাই না! স্বনির্ভর হওয়াটা অর্থহীন মনে হয়!'
     'তুই বড্ড বেশি ভাবিস। অল্প বয়স; সব ঠিক হয়ে যাবে। রাগ, জেদ  না দেখিয়ে, বুঝিয়ে বলবি। গেমের নেশায় ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়রা পর্যন্ত চাকরি ছেড়ে দিচ্ছে। আমারটিও শুরু করেছিল। অনেক কষ্টে বুঝিয়ে - সুজিয়ে ছাড়াতে পেরেছি। না হলে ব্যাঙ্কের চাকরীটা আর পেত না। তবে ওর বাবা কখনো অন্যায় আবদার মেটায়নি। যে বয়সে যেটা দরকার সেটা দিয়েছে। শাসনটা রাখতে হয়।'
     'কাকে বোঝাব? শাসনের তো প্রশ্নই উঠে না। ছেলেই আমাকে এমন বোঝানো বোঝায়, চুপ করে হজম করা ছাড়া কোনো উপায় থাকে না । বাবার সায়েই তো অমন করে! বেহিসাবি খরচ! ছেলেটিকে ঠিক তেমনি তৈরী করছে। আমি একা শাসন করতে গিয়ে ছেলের সঙ্গে শুধু অশান্তির হচ্ছে। ক্ষমতাহীন দায়িত্ব পালন! এ যে কী যন্ত্রণার! ভুক্তভোগী না হলে বুঝবে না!'
     'মা, তোমার না - সব কিছুতেই বাড়াবাড়ি। জ্যেঠু দামি জিনিস দেয়; তাতে কী হয়েছে? আমারই তো ভালো! দামি জামা-প্যাণ্ট পেয়ে যায়। তাই না কাকিমা?
     'বাবা আর জ্যেঠু মিলে ছেলেটার সাড়ে সর্বনাশা করে ছেড়েছে!
     'ফালতু কথা বলবে না? নিজে যা বলবে,যা করবে-সবই ঠিক! সব সময় মাস্টারনি ফলানো! অত শাসন করতে গেলে ছেলে বিগড়ে যাবে না তো কী হবে?'
     'আমার কথা আর থাকে কোথায়? থাকলে আর রেজাল্ট অমন হত না। ছেলেও অত বকে যেত না। কোদাইকানাল যাব বলছি; কিছুতেই যাবে না বলে গো- ধরে রয়েছো। যেহেতু আমি বলেছি!'
     'বললাম তো -এর পরের বার যাব।'
     'কেন পরের বার যাব? এবার তো কন্যাকুমারীতে কোদাইকানালের পাশ দিয়েই যাচ্ছি।'
     'মা, মেনে নাও। ঝামেলা করো না। বারবার কেন একই কথা বলো? সেই ভোর চারটে থেকে শুরু করেছো। এবার থামতো।'
     বিজয়ওয়াড়ায় ট্রেন অনেকক্ষণ দাঁড়াবে। নীচে নেমে ভালো খাবার পাওয়া যাবে কিনা, সেই জন্য অনেকেই নামছে। ভদ্রলোক নেমে গেলেন।
     'ঋষি তোর মাকে শোন তো -উত্তর ভারতীয় থালী পাওয়া যাচ্ছে, নেব কিনা? সকালের ব্রেক ফাস্ট খায়নি এক বার।'
     হ্যাঁ। খাবে।' মাকে না শুনেই উত্তর দিল ঋষি।
     'মা আর ঝামেলা করো না, লক্ষীটি। খেয়ে নিও।'
     'ভালো না লাগলেও খেতে হবে? সব সময় জুলুম। জানিস তো পলি, আমাকে বিয়ে  করে ভুল করেছে। সেই হোমিওপ্যাথি ডাক্তারনীকে বিয়ে করলেই ভালো করত।'
     ছেলেটি এখন নিজস্বী তোলাই ব্যস্ত। চোখ পর্যন্ত ঝুলে পড়া এক ঝাপটি চুল। ঘাড়ে ঝাঁকি দিয়ে চুল বিভিন্ন কায়দায় রেখে নিজস্বী তুলছে। এরপর সঙ্গে থাকা দাদাটিকে নিয়েও বেশ কয়েকটি নিজস্বী তুলল।
     'ঋষির চুল অত বড়ো কেন রে? দাদার সব কিছুই অনুকরণ করো ঋষি, কিন্তু চুল কাটার স্টাইল তো বাবা - দাদার মত নয়? আসার আগে কাটতে বলিসনি?'
     'বলিনি আবার। চুল কাটার জন্য বাবা -ছেলের সঙ্গে একমাস লড়াই চালাতে হয়। আসার এক সপ্তাহ আগে ১০০০টাকা দিয়েছি চুল কাটাতে আর টুকিটাকি জিনিস কিনতে -সেই টাকা দিয়ে জামা কিনে এনেছে।'
     'ঋষি তুই আর কী কী পারিস? কত টাকা লাগে চুল কাটতে?
     '৬০০টাকা মতো। হাবিবে ঐ রকমই লাগে। সব থেকে কম দাম। মা না -ফালতু ফালতু চাপ নেয়। বাবার কাছ থেকে জিনিস আদায় করা খুব সহজ। ক্লাস টেনে পড়ার সময় ল্যাপটপ কিনে দিতে বললাম। দাও না, দাও না বলে বাবার ঘাড়ে উঠে পড়লাম। তক্ষুনি  - বাবা আমাকে দোকানে নিয়ে গিয়ে কিনে দিল।'
     'তুমি খুব সুবিধাবাদী, যখন যেদিকে পাল্লা ভারী সেই দিকে ঝুলে পড়!'
     'সে তো করতেই হয়। নইলে কী আর এসব পেতাম!'
     'খুব সেয়ানা হয়েছিস। আর বেশি পেকে গেছিস্ আমার ছেলেটার জন্য। ওর যেটা আছে, তোর তো আবার সেটা চাই। এটা ঠিক নয়।ওর থেকে তুই অনেক ছোটো। তোর সামনে আই.এস.সি। এখন অত জিনিসপত্রের বায়না করলে হয়? এই বয়সে যা পাওয়ার কথা তার থেকে অনেক বেশি পেয়ে গেছিস্।'
     'না, না -সব কিছু পায়নি। এখনো কত কিছু ৺বাকী রয়েছে? এই যে বাবাকে আই ফোন কিনে দিতে বলছি -দিচ্ছে না তো?'
     'বেড়াতে আসার আগে বাবার কাছে ডি.এস.এল.আর কিনে দেওয়ার বায়না করল অমনি কিনে দিল।  আমার কাছে এক বছর ধরে বলেছে -দিইনি। দামি একটা জিনিস কিনে দেবার আগে -দেখতে হবে না সেটা ব্যবহার করার মতো বোধ, বুদ্ধি হয়েছে কিনা? যত্ন করতে শিখেছে- কিনা?'
     'নিজে দেবে না আবার বাবা দিলেও অশান্তি করবে। তুমি কী ঝামেলা ছাড়া একটুও থাকতে পার না? খাবার এসে গেছে -খেয়ে নিয়ে ঘুমিয়ে প'ড়। ভোরবেলা থেকে সেই যে বকবক করছো! নাও তোমারটা ধরো। আমি আর দাদা এইটাই বসে খেয়ে নিচ্ছি। তুমি আর কাকিমা ওখানে বসে খেয়ে নাও। বাবা, এই কাগজটা পেতে নাও তোমার আর কাকুর থালির নীচে। মা, বিরিয়ানি হ্যাব্বিই বানিয়েছে!'      'ভালো। জল খাস বেশি করে। আমাদের খাবারটাও ভালো ।'
     দুপুরের খাওয়ার পর প্রায় সবাই ঘুমিয়ে পড়েছে। দুই একজন জানালা দিয়ে বাইরের দৃশ্য দেখছে বা গল্প করছে।
     'বনানী তুই কী; একটু শুবি? '
     'না। শুলেও ঘুম আসবে না। খুব ভোর বেলায় ট্রেন চেন্নাই পৌঁছে যাবে, বরং রাতে তাড়াতাড়ি শুয়ে পড়ব। বাইরেটা দেখতে খুব ভালো লাগছে। বেহেরমপুরের পর থেকে সবুজ ধানখেতের বুক চিরে ট্রেন ছুটছে। দিগন্ত বিস্তৃত সবুজ ধান খেত, মাঝে মাঝে তাল বন আর নারকেল গাছ, কলাবাগান। এত সবুজ, চোখ জুড়িয়ে যাচ্ছে। '
     'ট্রেন ছুটে চলেছে শহর, গ্রাম,প্রান্তর পেরিয়ে; বনানী বাইরেটা দেখতে দেখতে; বসেই ঘুমিয়ে পড়েছে।
     'এই বনানী ওঠ; রাতে কী খাবি?
     'দুপুরের খাবারের সঙ্গে রুটি ছিল; তখন খেতে পারিনি; এখন ওটায় খেয়ে নেব।'
     'তা হ'লে পাঁচটা ডিম ভাত বলে দাও।'
     ভোরবেলায় নামতে হবে বলে রাত দশটা বাজতে না বাজতেই রাতের খাবার খেয়ে সবাই শুয়ে পড়েছে। বনানী শুয়ে পড়লেও ঘুম আসছে না। এরকম  কত বিনিদ্র রজনী চোখের জলে ভেসে গেছে! আজ না হয় ট্রেন গাড়ির কামরাতেই কেটে যাক আরো একটা রাত। (সমাপ্ত)

মমতা বিশ্বাস (ভাষা শিক্ষিকা)
নবদ্বীপ রোড়, কৃষ্ণনগর, নদিয়া, 
পশ্চিমবঙ্গ, ভারত