অটোয়া, সোমবার ২৩ জুন, ২০২৫
ওরা পঙ্গপাল - অনুকূল বিশ্বাস

রা আসে দলবেঁধে ,ঝাঁকে ঝাঁকে
বায়ুপথে চারদিক মেঘের অন্ধকার ঘনিয়ে।
কেঁপে ওঠে আকাশ ,বাতাস ,গাছপালা
কেঁপে ওঠে সুজলা সুফলা ক্ষেতের রোদ্দুর।
ঘুম নেই কৃষকের ,শঙ্কিত গ্রামবাসী
ওরা তো ধ্বংসের  দূত, অশুভর মেঘদূত,
বয়ে আনে মহামারী মৃত্যুর গন্ধ;
সাথে আসে সর্বনাশা অনাহারের হাহাকার---
অনন্ত কাল হতে সময়ে সময়ে চলে ওদের নির্মম ধ্বংসলীলা;
ওদের পরিব্রাজনের পথে যা কিছু পায় খাদ্য হিসেবে নষ্ট করে অবলীলায় ,সর্বশান্ত পথযাত্রী কৃষক পরিবার।
দেশের অনিয়মিত বৃষ্টিপাত ওদের প্রজননের উত্তম আভাস;
প্রকট হয় খাদ্য-সংকট, ছুটে চলে দেশ হতে দেশান্তর।

বাতাসের গতি পথে ওরা ছোটে এঁকেবেঁকে
পথে যত শস্যক্ষেত হয় মরুভূমি।
আদিম প্রবৃত্তি খিদের জ্বালায় ঘুরেফিরে দেশে দেশে,
কৃষি ফসল, গাছপালা খেয়ে বাড়ে শক্তি,
তারপর ছুটে চলে ভিনদেশে নতুনের সন্ধানে;
পড়ে থাকে কৃষকের কান্না, আর থাকে স্বজনের আর্তনাদ।
ওরা সেই দলে, সেই ঝাঁকে, ছুটে আসে বারে বারে
নিঃশেষ করে দেয় সহায় সম্বল;
ওরা পঙ্গপাল, ওরা ঘাসফড়িং, ওরা যাযাবর পতঙ্গ--,
ওরা আসে, চলে যায়, রেখে যায় দুর্ভিক্ষের ছবি।

অনুকূল বিশ্বাস। মালদা, পশ্চিমবঙ্গ