অটোয়া, সোমবার ২৩ জুন, ২০২৫
সোমনাথ রায়ের দুটি সনেট

অনুমান থেকে বর্তমান
স্তাপচা বিশ্বাসের ভেতরে হাঁসফাঁস করি আমি
এই একটা বিড়াল পেরিয়ে গেল রাস্তা, আর গতি
থমকে দিল অজ্ঞাত কারণে, বুকে ধুকপুক নিয়তি
মানুষের কল্পনায় সৃষ্ট দেবতার অনুগামী
হয়ে অনুমানে পড়ে থাকে ভাগ্য বিলাসী ঘরামি
মন্দির মসজিদ গির্জা থেকে ধর্মান্ধের পরিণতি
সংস্কারে বিমুখ আর ভণ্ডামিকে জানায় সম্মতি—
কুক্ষিগত গণতন্ত্রে বিরোধিতা মানেই পাগলামি!

এখন সকাল থেকে আকাশের সূর্য খোঁজ করি
অগণিত নক্ষত্র বেষ্টিত চাঁদ খুঁজি সারারাত
বাতাস আগুন মাটি আলো জল আমাকে সাক্ষাৎ
অস্তিত্বের পরিচয় দেয়, এরা ঈশ্বর-ঈশ্বরী—
এ বিশ্বাসে কে আমাকে বসতে দেবে পাঁজর-মন্দিরে
ভালবাসা মন্ত্র হবে আমাদের বর্তমান ঘিরে!

কালবৈশাখীর ঝড়
দুঃখকে আড়াল করে তুমি বেশ মেতেছ উল্লাসে
কালবৈশাখীর ঝড়ে রোমাঞ্চিত রবীন্দ্রসদন
তোমাকে দেখেছে, নৃত্য ঢঙে আম কুড়োচ্ছ যখন 
আনমনা কিশোরী, একা, খুব একা ও আত্মবিশ্বাসে
ভেঙেছ ভ্রূকুটি-বেড়া, প্রধান শিক্ষিকা, স্কুলবাসে
ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে যাও, কাছে ডেকে বল, শোন
প্রথমে স্ব-উপার্জন শিখবি, সহনীয় মূলধন
ওটা, আমাকেই দ্যাখ, স্বামী ছাড়া, মেয়ে ইউনিভার্সে।

বয়স তো হল, যাও ফ্ল্যাটে যাও, কেয়ারটেকার
এবার নিশ্চিন্ত হবে, দিদিমণি ফিরে এসেছেন
একা জাগা অনেক দিদিমণিও নিশ্চিন্ত হবেন
পোড়া সিগারেট-গন্ধ নিয়ে ফিরে যাবে ড্রাইভার।
দরজা বন্ধ করলে ফিরে আসে লোকটা, কাজের মেয়েকে
নিয়ে শুয়ে আছে, আর তুমি ভাঙছ দর্পণে নিজেকে।

সোমনাথ রায়, 
সরশুনা, কলকাতা, 
পশ্চিমবঙ্গ, ভারত।