অটোয়া, সোমবার ২৩ জুন, ২০২৫
পাথুরে ভাগ্য - মুতাকাব্বির মাসুদ

পাথরে ভাগ্য সবার ফেরে আমার ফেরে না
জন্ম থেকে পাথরের সাথে ঘরবসতি;পাথর করেছি ফেরি
আমার ভাগ্য পাথুরেই রয়ে গেলো- এ পাথরচাপা কপালে
'পাথরে পাঁচ কিল' দিনের শেষে ক্লান্ত গোধূলির ধূলোয় ওড়ে গেলো - কোথায় যায় কে জানে?
এখানে দেখি সকালে বিকালে নেংটা পাখি
পাথর নিয়ে অঙ্গে মাখে-অসভ্য ডানার নিচে লুকোয়
রঙবেরঙের পাথরের পৈশাচিকতা!
নেওটা ইঁদুরও নকড়া করে সময়ের ঘরে অসময়ে!

আমার বয়সী শরীরের পিঞ্জরে
মৃত স্বপ্নের কালো কালো ঝুল, জমে জমে পাথর হয়
পাথর হয়ে ভীম কালো পাথুরিয়া শৈলগহ্বরে
হারিয়ে যায়!
আজ তন্দ্রা থেকে জেগে দেখি
'আঙুল ফোলা কলাগাছে' - এ পাথর এখন অবিশ্বাস্য দুর্বিনীত ক্ষমতার প্রতীক!

এখানে দেখি রকমারি ডায়াসে রকমারি ভঙ্গিতে
হাঁপানি রোগীর ভিড় ; কামারের হাপরের মতো
তাঁদের অমার্জিত বিধ্বংসী বুক!
উপচানো অক্সিজেনে বেসামাল ওঠানামা করে।
তাঁদের-ই শালের গোড়ার মতো বেঢপ আঙুল,
স্পর্ধিত উঁচানো মধ্যমা কিংবা অনামিকায়,
প্রায়শই মানুষের কলিজার মতো কালো আর
পরিশ্রমী নিপীড়িত রক্তের মতো
লালে লাল পাথর দেখা যায়!
এ পাথরেই দেখি কত কামার চামার কত রাসভ
কুমার হয়ে যায় - একেবারে সমৃদ্ধ 'রাসকেল' রাজকুমার!

শালার পাবলিক হাঁপানি রঙের পাঞ্জাবি আর মানুষের রক্তে মাখা সেই রক্তাভ পাথর দেখেই চুপসে যায়!
আফসোস!
আমার সেই সাতপুরুষের মতো-মেরুদণ্ড সোজা করে,
এই পাবলিক আর সেই পাবলিক হয়ে ওঠে না!
আমিতো দেখি পাথরে ভাগ্য কেবল
অশীল অসুরের ফেরে
আমার মতো শালা পাবলিকের ফেরে না!

মুতাকাব্বির মাসুদ। বাংলাদেশ