কাক ডাকা দুপুরেতেতে রৌদ্রের পরশে-কাক ডাকা দুপুরেপ্রাণোচ্ছল পুকুরের হালকা তপ্ত হাওয়ায়যে অবোধ বালকের সারি ডুবে আর খেলেযে সোনালি মেয়ের ক্ষেতে হলুদ ধানের বৃষ্টিতোমার নাকের ডগায় উঁচু গন্ধ ঢেলে দেয়-তার ভেজা ওড়নায় তুমি খোলে দাও অরণ্য।দপ করে নিভে যাওয়া বাতাস- তুমি ডুবে লওমণি মুক্তোর হার।সেকালের নদি মাছ আর শিউলির ঝাঁঁকেসেকালের হাটে-বাটে যে জলসতেজ অগ্নিঝর্ণাতার শিমূলতলায় তুমি লুটেরা হয়েকেড়ে লও তোমার আবাল্য শৈশব-তেতে রৌদ্রের পরশে-কাক ডাকা দুপুরে। প্রতিরোধআমি যখন লিখতে বসি-ওরা আমার কলম কেড়ে নেয়।আমি যখন কথা বলি-ওরা আমার কণ্ঠ বাজেয়াপ্ত করে।আমি যখন সুর তুলি-ওরা আমার হারমোনিয়াম ভেঙে ফেলে।আমি যখন খেতে বসি-ওরা আমার মুখে লাথি মেরে অভুক্ত রাখে।আমি যখন চিৎকার তুলি-ওরা আমার জিভ টেনে ধরে।আমি যখন প্রেমিকার ঠোঁটে চুমু খেতে চাই-ওরা আমায় ধাওয়া করে।আমি যখন ভ্রাতৃত্ব চাই-ওরা আমার বাড়ি লুটে নিয়ে যায়।আমি যখন চোরকে দেখায়ে দিতে চাই-ওরা আমার বুকে রিভলবার তাক করে।আমি যখন বাঁচতে চাই-ওরা আমায় বাঁচতে দিতে চায়।তাজুল মারুফ। ঢাকা
Ashram Bengali Magazine, Ottawa