অটোয়া, সোমবার ২৩ জুন, ২০২৫
দেনা-পাওনা – ফরিদ তালুকদার

ই যে বুড়ো খুকি…
ঊষার কালে নদীর জলে 
বুনোহাঁসেদের উৎসব চলে
রবির ছোঁয়া  গাছের ডালে 
সোনা রঙকে জাগিয়ে তোলে
যাবি রে তুই যাবি…?

বয়েই গেছে… 
বকুল তলে ফুল ঘুমিয়ে
আঁচলে সব নেব কুড়িয়ে
ব্যাস্ত আমি  কাজের ফাঁকে
চোখের কোনে অনেক সাজে
যাব নাগো বুড়ো খোকা যাব নারে…

শোনরে বুড়ি…
উতল হাওয়ার দখিনা ক্ষেতে
সরষে ফুলে জীবন হাসে
নীল আকাশে চিত্র আঁকে
স্বপ্ন তরী প্রেম বিলাসী…
দুয়ে মিলে পড়বো আকাশ…
পড়বো নদী, সবুজ ঘাসে চন্দ্র দ্যুতি…
আয়রে খুকী আয়…?

নারে বড় খোকা না…
ছোট পুকুর ঘাটের কাছে
দোলনায় আমার প্রাণ মজেছে
হিজল ফুলের  টাপুসটুপুস
ফুল তো নয় লাল সমুদ্দুর 
হৃদয়ে তার বর্ণ মাখি
একলা পরী, একলা নাচি
একলা আমি বসন পাতি
আসবি যদি আয়…

পাহাড় গায়ে রাত ঘুমালে  
রূপালী চাঁদ বধুয়া সাজে
পুরোহিতের ছদ্মরূপে 
তারা সেথায় বরের বেশে
মন্ত্র সঠিক, আকাশ সাক্ষী 
ঝলমলে ঐ আলোর দেশে
আসনা কেন  নোলক পড়ে…?

হৃদয় দিবি হৃদয় নিবি
দেনা-পাওনার সহজ হিসেব
বুঝিস না কেন বড় খোকা…?
এখনো তাই পুড়ছি একা…!
আমার পুরোহিত তুই ই হবি
এই বুকেই  ওম পোহাবি
কিসের এতো ছলচাতুরি…?

ফরিদ তালুকদার। টরোন্টো, কানাডা