আমার পেটে ক্ষুধার পাষাণ আঁধার ঘনিয়ে আনেস্বপ্নের ফেরিওয়ালা হয়ে তুমি ছড়িয়ে দিচ্ছ মুক্তি।আমার কাস্তেএক ফালি চাঁদ হয়ে ভাসেনি নীল পাকস্থলীতেকয়ারেন্টিনে পড়ে পড়েজমেছে হলদে মৃত্যু।আমি ঠোঁট দিয়ে খুঁটে নিচ্ছি ধুলায় লুটানো ভিক্ষা পাত্র পাশ দিয়ে ছুটে চলেছে জীবনের রেলহাড়িতে বগ বগিয়ে ফুটে চলেছে সলিলের গানআমি শুনছি মুখ পেতে।আমার পরিযায়ী পায়ে অজস্র ক্লান্তিমেলে ধরছে মৃত্যুমাগো তোমার উঠোনে সন্ধ্যে প্রদীপ জ্বালিয় না আরতার কয়েক পা আগেইগড়ে উঠছে আমার কবরআর এক দুর্ভেদ্য অন্ধকার।আজ রাষ্ট্রে রাষ্ট্রে ভাগ করে গাইছে সাম্যের গানমার্কস তুমি শুনছোএই মৃত্যু ভয় কি তবে সাম্য?!আর এই কি তোমার কাঙ্খিত মুক্তিযেটা আলেয়ার মত উবে যাবে পৃথিবী শান্ত হলে।কবর বড়ই অন্ধকার ময়মৃত্যুকে আলিঙ্গন করেছি জীবনের থেকে বেশিতবু পেটের আঁধার থেকে আমার মুক্তি কই?কবিতোমার দুঃস্বপ্নেও কি আমার ঠাই ছিলনা কখনো?!বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়। বাঁকুড়া
Ashram Bengali Magazine, Ottawa