অটোয়া, সোমবার ২৩ জুন, ২০২৫
আমার মুক্তি কই? - বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়

মার পেটে ক্ষুধার পাষাণ আঁধার ঘনিয়ে আনে
স্বপ্নের ফেরিওয়ালা হয়ে তুমি ছড়িয়ে দিচ্ছ মুক্তি।

আমার কাস্তে
এক ফালি চাঁদ হয়ে ভাসেনি নীল পাকস্থলীতে
কয়ারেন্টিনে পড়ে পড়ে
জমেছে হলদে মৃত্যু।
আমি ঠোঁট দিয়ে খুঁটে নিচ্ছি ধুলায় লুটানো ভিক্ষা পাত্র 
পাশ দিয়ে ছুটে চলেছে জীবনের রেল
হাড়িতে বগ বগিয়ে ফুটে চলেছে সলিলের গান
আমি শুনছি মুখ পেতে।

আমার পরিযায়ী পায়ে অজস্র ক্লান্তি
মেলে ধরছে মৃত্যু
মাগো তোমার উঠোনে সন্ধ্যে প্রদীপ জ্বালিয় না আর
তার কয়েক পা আগেই
গড়ে উঠছে আমার কবর
আর এক দুর্ভেদ্য অন্ধকার।

আজ রাষ্ট্রে রাষ্ট্রে ভাগ করে গাইছে সাম্যের গান
মার্কস তুমি শুনছো

এই মৃত্যু ভয় কি তবে সাম্য?!
আর এই কি তোমার কাঙ্খিত মুক্তি
যেটা আলেয়ার মত উবে যাবে পৃথিবী শান্ত হলে।

কবর বড়ই অন্ধকার ময়
মৃত্যুকে আলিঙ্গন করেছি জীবনের থেকে বেশি
তবু পেটের আঁধার থেকে 
আমার মুক্তি কই?

কবি
তোমার দুঃস্বপ্নেও কি আমার ঠাই ছিলনা কখনো?!

বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়। বাঁকুড়া