অটোয়া, সোমবার ২৩ জুন, ২০২৫
কাজী মাসুদ এর দু’টি কবিতা

জীবনের সাত রং
ঝড়ের কবলে সাগর উতালে
ছিঁড়েছে জীবন পাল,
নদীর ভাঙনে বন্যা প্লাবনে
ধরেছে তবু হাল।

ক্ষরায় জলায় ফসল হারায়!
কিষাণী চোখে জল,
জমিদার ক্ষ্যাপে,ঋণের চাপে,
হারিয়েছে সম্বল।

মজদুর হয়ে মজুরি চেয়ে
জুটেছে প্রবঞ্চনা,
শোষিতের তরে শোষিত মরে
হাহাকার রচনা।

তারুন্য প্রাণে বিদ্রোহী গানে
চলেছে দূর্বার!
শকুনের দল মেরেছে ছোবল!
কূট-রাজনীতি  বর্বর।

সুখের সকাশে স্বপন বিলাসে
দেখেনি দুঃখীজন,
সুখের কামনা  হানিছে যাতনা
হুতাশে এ জীবন!

ধর্ম পাপীরা রাঙিছে দাপিয়া
ভেদিছে মানব-কূল,
মরীচিকার ছলে গেছে রসাতলে
ধর্ম যপিছে ভুল।

হায়রে জীবন!করিবে বরণ!
অসীম কৃষ্ণধরা,
আসিবে মরন!করিবে হরণ!
প্রেমময় ফল্গুধারা।।

ফেরারী প্রণয়
হে বন্ধু -
মোর জীর্ণ হৃদয় তবু শূন্য থাক,
বেঁধোনা আমায় তোমার হৃদয় শাঁখ।
কি হবে? হারাবে যদি প্রণয় সুবাস!
ভুলিও দূরিও তবু ব্যথিত আকাশ।
স্মৃতির ক্ষরণে যদি ভিজে যায় পাল,
সাগরে তুফান ওঠে ধরে রেখ হাল।
কালের স্রোতে ভাসে বিবর্ণ পলি,
অনুরাগ ঢেকে যায় নিভিয়ে দীপালি।
হয়তো কোন এক শারদ  প্রদোষে,
ঝরাবে বকুল তলে অশ্রু সুবাসে।
শ্রাবণ সাঁঝেতে যদি গোধূলি হারায়,
খুঁজে নিও দ্যুতি মোর সন্ধ্যা তারায়।
প্রজাপতি যদি কভু রাঙে জুঁই শাখে,
অনুভবে ভেবো রবো চন্দ্র বিশাখে।
বিমূর্ত স্বপনে চেয়ো নীলিমার নীলে,
পান্থ পাখির বেশে আসিব নিরালে।
হয়তো বটের ছায়ে উদাসী দুপুরে,
ফিরিব রাখাল প্রাণে মনের মুকুরে।

কাজী মাসুদ। যশোর, বাংলাদেশ