অটোয়া, সোমবার ২৩ জুন, ২০২৫
একগুচ্ছ কবিতা - নুরুল ইসলাম বাবুল

আজকে  
সব ঘরে ঘরে উঠে গেছে চৈতালি
শেষ হয়ে গেল চৈত্রের সংসার
আমরা এসেছি হৃদয়ের খেয়াপার
মুছে নেব আজ পুরাতন ধুলোবালি।

আজকে আকাশে উড়বে তুমুল মেঘ
আজকে আকাশে ভিজবে মাতাল ঘুড়ি
আজকে বাতাসে আমাদের ওড়াউড়ি
আজকে বাতাসে দুরন্ত গতিবেগ।

আজকে নীরবে পেতে রাখো দুইকান
বাজবে হঠাৎ আগামী দিনের গান।

অনন্ত কাজের শেষে
এখন আর কোন কাজ নেই আমার
তোমার গায়ের গন্ধে মাতাল হওয়া ছাড়া 
তোমার চোখে তাকাতে তাকাতে অন্ধ হওয়া ছাড়া
তোমার নিশ্বাস গিলে খাওয়া ছাড়া
আর কোন কাজ নেই আমার।

অনন্ত কাজের শেষে আজ তুমি ছাড়া
আর একজনও নেই আমার।

নিয়তির দলিল
পৃথিবীতে এ কোন আঁধার?
এ কোন অসুখ নেমেছে আজ মৃত্তিকার ঘাসে;
ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে সব
ঘরে ঘরে আটকে যাচ্ছে মানুষের পা;

দুর্ভাগা মানুষ!
নিয়তির দলিলে লেখা তার-
সাড়ে তিনহাত ভূমির মালিক।

তোমার স্বভাব
কোন কম্পনেই আমি কাঁপি না
অথচ তোমাকে কাঁপতে দেখলেই
থরথর কেঁপে উঠি,
তাবৎ ভয়েই আমি নির্ভয় থাকি
কেবল তোমাকে ভীতু হওয়া দেখলেই
আমি ভীষণ আতংকিত হয়ে যাই...

কেননা, আমি তোমার স্বভাব চিনি।

কী এক অন্তহীন প্রার্থনায়
এক অন্তহীন প্রার্থনায় ডুবে আছি,
ডুবে আছি গভীর মগ্নতায়;
আমাকে ঘিরে আছে চৈতন্যহীন সময়
ঘিরে আছে অগণন বৃক্ষ, নদী-ফুল-ফল
অথবা রাতের আঁধার...

আমি ডুবে আছি অনাদীকাল থেকে,
আমার দিকে তাকিয়ে আছে তাবৎ গ্রহ-নক্ষত্র
আর মেঘেদের মেয়ে;
আমি কেবল আপন মনে পৃথিবীর আলোছায়া বুকে নিয়ে
ডুবে আছি-
কী এক গভীর এবং অন্তহীন প্রার্থনায়। 

নুরুল ইসলাম বাবুল। পাবনা, বাংলাদেশ