অটোয়া, সোমবার ২৩ জুন, ২০২৫
আমায় আকাশ ডাকে - শাহ্‌ বাহাউদ্দীন শিশির

মায় আকাশ ডাকে, ডাকে দূর পাহাড়, 
আজও দেয় হাতছানি উত্তাল তরঙ্গের সাগর। 

চেয়ে থাকি শূন্য চোখে অদৃশ্য অজানার খোঁজে, 
কখন মিলবে না দেখার দেখা? তৃষিত আঁখির সুখ আসবে আবার দ্বারে। 

কি খোঁজে এই তৃষিত আঁখি?
খোঁজে হিমালয়, ভিসুভিয়াস, নাকি মেডেটেরিয়ানের জলরাশি?

পাথুরে নদীর খরস্রোতাকে দেখতে চায় ছুঁয়ে, 
স্নিগ্ধ আর বিশুদ্ধ সমীরণ চায় নিতে শ্বাস বুক ভরে।  

কবে আবার পাব ফিরে প্রজাপতির ডানা,
কে জানে? হয়তো মিলবে গাঙচিলের পাখা ! 

মৃত নগরীর মাঝেই যেন চলাফেরা,
সবকিছুই স্থবির যেন গেছে থেমে অশুভ ছোবলের অলক্ষণে।   

ভীত আজ সর্বাঙ্গ, সন্ত্রত পুরো মনের আঙ্গিনা,
হারিয়েছে সুর রাতের অন্ধকারে প্রতিটি বীণার তাঁরে।         

এই অভিশপ্ত বাতাস একদিন ঠিকই যাবে উড়ে না ফেরার দেশে,
উড়বে ফড়িং নানা রঙের ফুলে, হবে ভোর সমস্ত আঁধার ঠেলে।    

আমাদের পথ চলার যেন শেষ না আসে,
চলো আর একটু কষ্ট করে তখনি মিলবে দেখা নতুন সূর্য প্রাতে।  

আবার আসবে ফিরে সোনালী সকাল,
অলিরা ফিরবে নতুন নতুন গানে।    

হয়তো জগবে কিশোরী পাতা আনন্দ সুখের কলতানে,
বরিষধারায় যাবে মুছে ব্যথা, থেকে যাবে সব কথা ইতিহাসের কোনে।

শাহ্‌ বাহাউদ্দীন শিশির। অটোয়া, কানাডা