অটোয়া, সোমবার ২৩ জুন, ২০২৫
কুসুম -পুলক বড়ুয়া

তুমি যা ফিরিয়ে দিয়েছ

        টুপ করে তা বুক পকেটে জমা রেখেছি
তুমি যা ফেরত দিয়েছ 
     চট করে তা প্যান্টের পকেটে 
           চালান করে দিয়েছি
অনবধানতাবশত: ব্যাক পকেট কেউ কাটতে পারে
    তাই ওখানে আমার প্রিয় মানিব্যাগটি রেখেছি
তোমারই ছোঁয়ার সুরভিকে বেহাত করতে চাইনি
      পর পুরুষের ছোঁয়া  
  অপর পুরুষের পরশ লাগুক চাইনি 
অসতর্কে বেগানা হাত পড়ুক, কিছুতেই চাইনি
    বেখেয়ালে ছুটে যাক একদম চাইনি
       কেউ পিছু নেবে, লুটে নেবে—তাই আগলে রেখেছি
  ওগুলোকে সাদরে স্বেচ্ছায় সরিয়ে রেখেছি
বুক পকেট অথবা প্যান্টের পকেটে কেউ
            দ্রুততম হাত ঢুকিয়ে দিতে পারে না
হাতের খেলা দেখাতে পারে না
        সহজে কেউ হাত দিতে পারে না
  হাত ঢুকিয়ে কেউ ফায়দা লুটতে পারে না
           হাত ঢুকিয়ে সহসা সুবিধা করতে পারে না
তাই, সযত্নে ওখানে তোমাকে রেখে রেখেছি
              নিরাপদ দূরত্বে
ওখানে তুমি আছো
      একজন তুমি ঘুমিয়ে আছো, শুধু তুমি
আমার জম্পেশ অনুভূতিসমূহ
           অবিকল, অবিকৃত—
আমার অক্ষত অনুভূতিমালা
       তুমি ছাড়া আর কেউ তুমি ছাড়া 
একমাত্র তুমি ছাড়া 
      বিন্দুমাত্র ভাগাভাগি করতে পারে না
          চিহ্নিত করতে সাহস করে না
                ঠাহর করতে পারে না
খোঁজ করতে পারে না
     গুম করতে পারে না—
          খুন তো দূর অস্ত
তুমি আমার হৃদ-মন্দিরে ঘুমিয়ে রয়েছো
       তুমি আমার হৃৎ-কোণে ঘুমিয়ে রয়েছো
আমার বুকের বিনিদ্র হাহাকার
            তুমি আমার মনের কারবালা
     তুমি এক ফোঁটা ফোরাতের জল
তুমি আমার এক আঁজলা জল

আমাকে খুলবে বলে
         নিজেকে মেলবে বলে
      আমার যে-কোনো সময় 
তোমার যে-কোনো সময় 

নিজেকে মেলাবে বলে
           নিজেকে খুলবে বলে
       আলো-অন্ধকারে বিলাবে বলে 
বিমূর্ত বাতাসে অমূর্ত খুসবু হবে বলে

তোমাকে নিয়েছি আমি
         তুমি আমার আকাশ কুসুম
    তোমাকে নির্বাক চয়ন করেছি আমি
আমার আকাশ কুসুম তুমি!

পুলক বড়ুয়া । বাংলাদেশ